শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সব দলের অংশগ্রহণে স্বাধীনতা কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সব দলের অংশগ্রহণে স্বাধীনতা কাপ

সব দলের অংশগ্রহণে কেএফসি স্বাধীনতা কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩০ মার্চ এ আসরের পর্দা উঠার কথা থাকলেও তা শুরু করতে পারেনি বাফুফে। নতুন তারিখ নির্ধারণ হয় ১ এপ্রিল অর্থাৎ আজ। বুধবার গভীর রাতে বাফুফে থেকে ফিকশ্চার পাঠানো হয়। এতে দুই গ্রুপের এগার ক্লাবের নাম ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলবে না। কারণ আট ফুটবলার নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। গতবারে তাদের ক্লাবে খেলা এই আট ফুটবলার নতুন মৌসুমে নতুন দলে যোগ দেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনী ৫, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে ২ ও ঢাকা আবাহনীতে একজন। শেখ জামালের অভিযোগ ছিল আট ফুটবলার নতুন মৌসুমে তাদের দলে খেলার জন্য অগ্রিম পেমেন্ট নেয়। সুতরাং তাদের দলবদল অবৈধ। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বাফুফের কাছে চিঠিও দেয়।

সোমবার বাফুফে প্লেয়ার্স স্টার্টাস কমিটি সিদ্ধান্ত দেয় শেখ জামালে নয়, আট ফুটবলারই তাদের নতুন দলে খেলতে পারবে। অথচ সেদিনই বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আটজন খেলোয়াড়কে অন্য কোনো ক্লাবে খেলার অনুমতি দেওয়ার জন্য বাফুফেকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেন। তাতে এ আট খেলোয়াড়কে শেখ জামালে ফেরত না দেওয়া কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বাফুফেও আবার এর জন্য কোর্টে আপিলও করে। গতকাল লিগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ আট ফুটবলার ছাড়াই ১ এপ্রিল থেকে স্বাধীনতা কাপ শুরু করার। এতে চট্টগ্রাম আবাহনী, শেখ রাসেল ও ঢাকা আবাহনী আপত্তি জানায়নি।

গতকাল আবার সংবাদ সম্মেলন করে শেখ জামালের কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন তারা স্বাধীনতা কাপে অংশ নেবেন। ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের বলেন, ‘আমরা কখনো বলিনি যে স্বাধীনতা কাপ খেলব না। শুধু আট ফুটবলারের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বাফুফের কাছে চিঠি দিই। আমরা কোনোভাবে চাইনি বিষয়টি কোর্টে গড়াক। কিন্তু বাফুফের দায়িত্বহীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। কোর্ট বলে দিয়েছে আট ফুটবলার শেখ জামালেরই। এরপরও এনিয়ে বাফুফে খেলা খেলছে। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই বাফুফের কর্মকর্তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দেখে। কারণ আমাদের অভিযোগ বাফুফে বা ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে নয়। তারপরও বাফুফে কেন কোর্টে আপিল করল। তাদের আসল উদ্দেশ্যটা কি এতেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। কাদের বলেন, আট ফুটবলারসহ স্বাধীনতা কাপে প্লেয়ার লিস্ট বাফুফের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’ আট ফুটবলারকে যদি না পান তাহলে কি স্বাধীনতা কাপ খেলবেন? আশ্চর্য এটাতো কোর্টের নির্দেশ। খেলতে না দিলে বাফুফে কোর্টকে অবজ্ঞা করবে। তবে আমরা স্বাধীনতা কাপ খেলছি এটাই নিশ্চিত।

বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী বলেন, সব ক্লাবের অংশগ্রহণে স্বাধীনতা কাপ আমরাও চেয়েছিলাম। শেখ জামাল খেলবে এটাতো খুশির খবর। তবে এখন পর্যন্ত তাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো চিঠি পাইনি। খেলার সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই খেলবে, তবে শুক্রবার থেকে টুর্নামেন্ট শুরু হবে। সালাম বলেন, শেখ জামাল খেললে গ্রুপও ফিকশ্চারের রদবদল হবে এর জন্য ক্লাবগুলোকে নিয়ে জরুরি বৈঠকও করতে হবে। শেখ জামাল ডাইরেক্টর ইনচার্জ (ফুটবল) আবদুল গাফফার বলেন, কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এখানে সবকিছুই শেষ হওয়ার কথা। আমাদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে আবার অন্য ক্লাব থেকে টাকা নিয়ে দলবদল করেছে। ফুটবলাররা বারবার ক্লাবগুলোকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে। এখনো তো বাফুফের কঠোর হওয়া দরকার। অথচ আট ফুটবলারের পক্ষ নিয়ে কোর্টে আপিল করেছে। বুঝি না এ ব্যাপারে বাফুফে এত তত্পর কেন? তারা কি ক্লাবের মধ্যে বিভেদ ছড়াতে চায়। কেন, এ নোংরামিটা করছে বাফুফে। তারা কি জানে না ফুটবলকে বাঁচিয়ে রেখেছে ক্লাবগুলোই।

সর্বশেষ খবর