বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সালাম

হঠাৎ সরে দাঁড়ালেন টুটুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সালাম

দুই প্যানেল থেকে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এটাই ছিল চূড়ান্ত। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। অর্থাৎ সালাম মুর্শেদী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হয়ে গেলেন। হঠাৎ কি এমন ঘটল যে টুটুলের মতো শক্তিশালী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও সরে দাঁড়ালেন। আগের দিনও সালাউদ্দিনবিরোধী প্যানেল ‘বাঁচাও ফুটবল’ ফোরামের নেতা মনজুর কাদের দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, কোনো ছাড় নয় ২১ এপ্রিল আমাদের প্যানেল ঘোষণা হবে। সব পদেই আমরা নির্বাচন করব। তাহলে হঠাৎ করে টুটুল সরে দাঁড়ালেন কেন? কাদের গতকাল নিজেও স্বীকার করলেন টুটুলের সরে দাঁড়ানোর কথা। বললেন এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এরবেশি কিছুই বলতে পারব না।

যাক কাদের এড়িয়ে গেলেও রহস্য নাকি অন্যখানে। কাজী সালাউদ্দিনকে মাইনাস করে ঐক্যবদ্ধভাবে একটাই প্যানেল হচ্ছে। আর এই প্যানেলে গতকালই নাকি যোগ দিয়েছেন সালাম। শুধু সালাম নয়, সালাউদ্দিনের পরাজয় নিশ্চিত করতে সমঝোতামূলক এক কমিটি গঠন হচ্ছে। এখানে চার সহ-সভাপতির মধ্যে দুটো করে ভাগাভাগি হবে। যদিও এক সহসভাপতি প্রার্থী বলেন, ‘এ ধরনের কিছু ঘটছে কিনা তা আমার জানা নেই। ১৫টি সদস্য পদেও ভাগাভাগি করে আসন বন্টন হবে। অর্থাৎ মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হবে সভাপতি পদে। সন্ধ্যায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে নোংরামির অভিযোগ  এনে সালাউদ্দিন সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ ছাড়াও এবারের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সালাউদ্দিনকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার এক ঘনিষ্ঠজন জানান, নির্বাচনে বেইমানি হতেই পারে, এটি নতুন কিছু নয়। কিন্তু সালাউদ্দিন নির্বাচনে অংশ নেবেনই। এদিকে সহসভাপতি পদ থেকেও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা শোনা গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ প্রত্যাহার করেননি। আজই নাকি সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। গতকাল রাত পর্যন্ত কাদেরের অফিসে চলে বৈঠক। এখানে বেশ ক’জন সহসভাপতি প্রার্থীকে দেখা যায়। একজন বলেন, ফুটবলের জন্য যা ভালো সেটা চিন্তা করেই আমরা এগোচ্ছি। এখানে নাটকীয় কিছু ঘটছে না।

সর্বশেষ খবর