বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

সময় ঘনিয়ে এসেছে। আর মাত্র তিনদিন পরই ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছেন সালাম মুর্শেদী। তাই ২০টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কে জিতবে এ নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। প্রার্থীদের দম ফেলার সময় নেই। সম্মিলিত পরিষদ ও ‘বাঁচাও ফুটবল পরিষদ’ দুই প্যানেলই নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। ১৩৪ জন কাউন্সিলর হলেও ভোটের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। চোখ কিন্তু বড় পদ সভাপতি পদে দুই প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন ও কামরুল আশরাফ খানের দিকে। সালাউদ্দিন জনপ্রিয় ফুটবলার ছিলেন, আট বছর ধরে সভাপতির চেয়ারে বসে আছেন। তারপরও স্বীকার করেছেন লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। কামরুল ক্রীড়াঙ্গনে তেমনভাবে পরিচিত না হলেও শক্তিশালী প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেশের অনেক পরিচিত সংগঠক তার পক্ষে প্রচার অভিযানে নেমেছেন। ভোটাররা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেই সিল মারবেন। সুতরাং কে যে সভাপতি হবেন বলা মুশকিল। জাতীয় দলের আরেক ফুটবলার গোলাম রব্বানী হেলাল সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে সালাউদ্দিন ও কামরুলের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে হচ্ছে।

সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ছে না। কিন্তু চার সহসভাপতি আসনেও জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। বাঁচাও ফুটবল পরিষদের প্যানেলে এই পদে প্রার্থী হচ্ছেন নজিব আহমেদ, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, খুরশিদ আলম বাবুল ও একেএম মমিনুল হক। অন্যদিকে কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, সামসুল হক এমপি, বাদল রায়, মহিউদ্দিন মুহী লড়ছেন সম্মিলিত পরিষদ প্যানেল থেকে। এর বাইরেও সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী রয়েছেন। কারা যে জিতবে তা বলাটা কঠিন। নির্বাহী সদস্য পদে সাবেক তারকা ফুটবলারের ছড়াছড়ি। জেলা ও বিভাগীয় ফোরামের লোক ছাড়াও আছেন পরীক্ষিত সংগঠকরা। জেতার ব্যাপারে সবাই আশাবাদী। কিন্তু ৩০ এপ্রিল কে হাসবে বা কাঁদবে বলা যাচ্ছে না। বাফুফের নির্বাচনে প্রতিটি পদেই হাড্ডাহাড্ডির লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর