বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

জোড়া সেঞ্চুরির পরও সিসিএসের হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এমন ম্যাচও হারে! প্রাইম ব্যাংকের কাছে ৫ রানে হারের পর নিশ্চিত ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) কর্মকর্তারা বলেছেন ক্রিকেটারদের! বলবেনই না কেন? ২৫৮ রানের টার্গেটে স্কোর বোর্ডে ২ উইকেটে ২০৮ রান যোগ করার পরও হার। তাও আবার মাত্র ৫ রানে। আবার ম্যাচে দলটির দুই তরুণ ক্রিকেটার সাইফ হাসান ও সালমান হোসেন জোড়া সেঞ্চুরিও হাঁকান। শুধুমাত্র অনভিজ্ঞতার জন্য বিকেএসপিতে ম্যাচটি হেরে যায় সিসিএস। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে শেষ তিন বলে তিন রান আউটে মাশরাফি বিন মর্তুজার কলাবাগান ক্রীড়া চক্র অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটি ৪ রানে হেরে যায় প্রাইম    দোলেশ্বরের কাছে।

বিকেএসপিতে প্রথমে ব্যাটিং করে তাইবুর রহমান পারভেজের ৭৬ ও ইয়াসির আলির ৫৩ রানে ভর করে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক ৪৮.৩ ওভারে ২৫৭ রানে গুটিয়ে যায়। তাইবুরের ৭২ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছক্কা। ইয়াসিরের ৬৭ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার। এছাড়া ওপেনার শেহনাজ খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। সিসিএসের বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৩ উইকেট নেন ৪৫ রানে। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, রিফাতুজ্জামান ও সালেহ শাওন। টার্গেট ২৫৮ রান। দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরেন ১৩ রানের মধ্যে। তখন মনে হচ্ছিল লড়াই করতে পারবে না সিসিএস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাইফ ও সালমান যোগ করেন ৪০.৫ ওভারে ১৯৫ রান। দুজনেই সেঞ্চুরি করেন। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে সাইফ কাটায় কাটায় ১০০ রান করেন ১২৯ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। সালমান ১১০ রানের ইনিংস খেলেন ১৩৭ বলে। যাতে ৩টি ছক্কা ছাড়াও ছিল ৮টি চার। সাইফ ৪৪.১ ওভারে আউট হলেও সালমান সাজঘরে ফিরেন সবার শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪৯.৪ ওভারে। সালমানের ফেরার পরও ২ বলে দরকার ছিল ৭ রান। কিন্তু এক রানের বেশি নিতে পারেনি সিসিএস।

প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে গেছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। শেষ তিন বলে তিনটি রান আউটই কাল হয়ে দাঁড়ায় মাশরাফিবাহিনীর কাছে। প্রথম ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর ৮ উইকেটে ২৮৭ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৭ রান করে নাসির হোসেন। জবাবে ৯ উইকেটে ২৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি কলাবাগান। কারণ শেষ তিন বলে তিন-তিনটি রান আউট।

সর্বশেষ খবর