শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুপুরে হোটেলে বিকালে বাফুফে ভবন

কাউন্সিলরদের দৌড়ঝাঁপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অপেক্ষার পালা শেষ। আগামীকালই বাফুফের নির্বাচন। সম্মিলিত পরিষদ আর বাঁচাও ফুটবল প্যানেলের প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই। জয়ী হতে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। ফুটবলের নির্বাচন অথচ যে উত্তেজনা তাতে মনে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের লড়াই। গতকাল বাঁচাও ফুটবল পরিষদ প্রার্থী, কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। ওয়েস্টিন হোটেলে সকাল থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ছাড়াও সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু তারা আসেননি। বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বিসিবির আরেক আলোচিত পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক অনুষ্ঠানে এলেও অল্পক্ষণের মধ্যে চলে যান। পাপন কেন এলেন না এটাই হয়ে উঠেছিল আলোচনার বিষয়। বাঁচাও ফুটবল পরিষদের এক প্রার্থী জানালেন, ‘পাপন ভাই আসতে চেয়েছিলেন আমরাই তাকে না করেছি। কারণ প্রতিপক্ষরা এনিয়ে নোংরামির আশ্রয় নিতে পারে। তিনি বলেন, সালাউদ্দিন বলেছেন নির্বাচন কর্মকাণ্ডে ফিফা অসন্তুষ্ট। তাকে নাকি হুমকিও দেওয়া হয়েছে, একদম বাজে কথা। নিজের অবস্থান জেনে এখন নাটক করার পথ খুঁজছেন।’ অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল সালাউদ্দিনের সমালোচনা। মনজুর কাদের বলেন, ‘যে ব্যক্তি দেশের ফুটবলকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাকে আর তার প্যানেলের কাউকে নির্বাচিত করা যাবে না। আমার বিশ্বাস ভোটাররা আমাদের পক্ষে রায় দেবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, কামরুল সভাপতি নির্বাচিত হলে যদি চার বছরে ফুটবল উন্নয়নে কোনো কাজ না করতে পারেন, তাহলে সামনে আর ভোট চাইব না।’ দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল বলেন, সালাউদ্দিন হারলে ফুটবল জিতবে। বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে কাউন্সিলরদের।’ সভাপতি প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান বলেন, ‘আমি কখনো ওয়াদা বরখেলাপ করি না। নির্বাচনে কি হবে জানি না। জিতলে আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার শতভাগ পূরণ করব। যদি ব্যর্থ হই আর কখনো ফুটবলের নির্বাচনে অংশ নেব না।’ মোজাফফর হোসেন পল্টু ও শেখ সোহেল বাঁচাও ফুটবল প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। সহ-সভাপতি প্রার্থী নজিব আহমেদ বলেন, ‘আজ শেখ জামালের জন্মদিন। আমি সালাউদ্দিনকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, নির্বাচন থাকবে নির্বাচনের জায়গায়। আপনি শেখ জামালের জন্মদিনের কেকটা খেয়ে যাবেন। কষ্ট লাগল তিনি এলেন না।’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা ও ক্লাবের কাউন্সিলররা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। অন্যদিকে সালাউদ্দিন প্যানেলের কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। তবে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিল ঠিকই। মজার বিষয় হচ্ছে দুপুরে ওয়েস্টিন হোটেলে যে কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন তাদের কাউকে কাউকে দেখা গেল বিকালে বাফুফে ভবনে সালাউদ্দিন প্যানেলের বৈঠকে। একজন বললেন, ‘এমনকি কোনো নিয়ম আছে এক পক্ষের অনুষ্ঠানে গেলে অন্য কোথাও যাওয়া যাবে না’। সালাউদ্দিন সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে আসেন। তার প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তিনি বলেন, আমার আত্মবিশ্বাস ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে প্রার্থীরা আমাদেরই ভোট দেবেন। এ সময় বেশ কজন কাউন্সিলরকে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর