কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ। তারকা ভরা শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র আজকের ম্যাচে কী করবে? চোখ বন্ধ করেই শেখ রাসেলকে ফেবারিট বলা যায়। কিন্তু নকআউট পর্ব বলেই ফেবারিটের গুরুত্বটা যায়-আসবে না। টেনশনপূর্ণ ম্যাচে কী হয় বলা মুশকিল। হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপে দুই দল আজ মুখোমুখি হবে। সেমিতে ওঠার লড়াই, তাই ফেবারিট হয়েও রহমতগঞ্জকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নামবে শেখ রাসেল। শক্তির বিচারে শেখ রাসেলের আজ সহজভাবেই জেতার কথা। কিন্তু ম্যাচটা কোয়ার্টার ফাইনাল বলে ফল কী হয় বলা মুশকিল। তা ছাড়া যোগ্যতা দেখিয়ে রহমতগঞ্জ এত দূর এসেছে।
শিরোপা জেতার সম্ভাবনা বেশি শেখ রাসেলের। কোচ মারুফ তারপরও নিশ্চিত থাকতে পারছেন না, ‘নকআউট পর্বে কাউকে খাটো চোখে দেখা ঠিক হবে না। বিশেষ করে আজকের ম্যাচে খুবই সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। তারকা খেলোয়াড় না থাকলেও অঘটন ঘটানোর সামর্থ্য রয়েছে রহমতগঞ্জের। তাই শেখ রাসেল কোনোভাবে চাইবে না ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে গড়াক।’ টাইব্রেকারে গেলে দুর্বল আর শক্তিশালীর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। ১৯৭৭ সালে লিগ ও লিবারেশন কাপে রানার্সআপ ছাড়া ফুটবলে রহমতগঞ্জের তেমন সাফল্য নেই। তারপরও তারা জায়ান্টকিলার বলে খ্যাত। এবার গ্রুপ পর্বে মোহামেডান ও বিজেএমসির সঙ্গে ড্র করেছে। শেখ রাসেল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। ‘বি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ ড্র। পরের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধাকে দাঁড়াতেই দেয়নি। ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ইনজুরির কারণে ফিকরু খেলতে না পারলেও এই টুর্নামেন্টে শেখ রাসেলের আক্রমণভাগকে বেশ সক্রিয় মনে হচ্ছে। ইকাঙ্গা ও পল এমিলি বেশ গুছিয়ে খেলছেন। রক্ষণভাগেও দুর্বলতা চোখে পড়ছে না। দুর্ভাগ্যক্রমে মৌসুমের প্রথম ট্রফি স্বাধীনতা কাপে সেমি থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এবার আর ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চায় না দেশের এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত দলটি।