শিরোনাম
শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চিরচেনা সেই হোয়াটমোর

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

চিরচেনা সেই হোয়াটমোর

হাতের ক্লিপ-বোর্ডে আটকে আছে এক শিট কাগজ। ক্রিকেটারদের নামের পাশে সেখানে নানান তথ্য টুকে রাখা। কার কী দুর্বলতা। কাকে কী ধরনের অনুশীলন করাতে হবে। এমনকি ফিটনেস সমস্যাগুলো নিয়েও লেখা রয়েছে নানান দিকনির্দেশনা। শিট দেখে দেখে তিনি একেকজনের কাছে যাচ্ছেন, আর একে একে বুঝিয়ে দিচ্ছেন কী করতে হবে। দূর থেকে দেখা গেল, মুশফিককে বলছেন কী ধরনের ব্যাটিং অনুশীলন করতে হবে। শাহরিয়ার নাফিসকে দীর্ঘক্ষণ ধরে উপদেশ দিলেন। বোলারদের ডেকে ডেকে কাজ বুঝিয়ে দিলেন। মাঝে-মধ্যে নিজেও ওদের অনুশীলনে অংশ নিলেন। বরিশাল বুলসের কোচ ডেভ হোয়াটমোরের কাজের পদ্ধতিটাই এমন। ছকে আঁকা। ঠিক ছবির মতো। ডেভ হোয়াটমোরের এই রূপ বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিচিত নয়। সাংবাদিকদের কাছে তো নয়ই। চারটা বছর তিনি বাংলাদেশে কাটিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে হোয়াটমোরকে ঠিক এভাবেই দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যেত মিরপুর স্টেডিয়ামে। হাবিবুল বাশার সুমন, মাশরাফি কিংবা মুশফিকদের জন্য এভাবেই কাগজের শিট নিয়ে সবুজ চত্বরে ছুটে বেড়াতেন তিনি। সেই হোয়াটমোর এখন অতি ব্যস্ত। কথা বলার সময়টুকুও নেই তার। বিপিএল আসরটাই এমন। অল্প সময়ে বড় ধামাক্কা! দেখা হলেও শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরই কেটে পড়েন হোয়াটমোর। শিষ্যদের নিয়ে মেতে উঠেন অনুশীলনে। পরবর্তী ম্যাচের ছকটাও হয়তো ভাবতে থাকেন মনে মনে। বাংলাদেশকে কত কিছুই না উপহার দিয়েছেন তিনি। তার অধীনেই বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচটা জিতেছিল। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারতের মতো ক্রিকেটের প্রবল শক্তিধরদের হারিয়েছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপটা ছিল বাংলাদেশের জন্য স্বপ্নের মতোই। সেই হোয়াটমোর বরিশাল বুলসকে কোচিং করাচ্ছেন। একের পর এক ম্যাচে সফলতা এনে দিচ্ছেন। ৫ ম্যাচ খেলে বিপিএলে তার দল ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে অবস্থান করছে তিন নম্বরে। সফলতার এই ধারা ধরে রাখতে পারলে এবার ফাইনাল খেলা তো বটেই এমনকি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাও আছে বরিশাল বুলসের। পুরনো শিষ্য মুশফিক আর শাহরিয়ার নাফিস কোচের কথ্য ভাষাটাই কেবল নয়, শরীরী ভাষাটাও বুঝেন। পুরনো গুরু-শিষ্যের মিলন কি এবার বরিশাল বুলসকে বিপিএলের সফলতম দল হিসেবে স্বীকৃতি এনে দেবে!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর