ভারতের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। একপেশে লড়াইয়ে হেরেছিল বড় ব্যবধানে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে হারের ধাক্কা সামলে নিয়েছে টি-২০ এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে পেসার পান্না ঘোষের সুইং ও অধিনায়ক রুমানা আহমেদের ঘূর্ণিতে ৩৫ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক থাইল্যান্ডকে। দিনের আরেক ম্যাচে শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কম মাত্র ২৩ রানে অলআউট করেছে নেপালকে। দ্বীপরাষ্ট্রটি ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে হিমালয় দুহিতার বিপক্ষে। নেপালের বিপক্ষে আজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করেছিলেন রুমানারা। গতকাল আর টস জিততে পারেননি। হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই স্বাগতিক বোলার সুত্তিরুয়াং ও বুচাথামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে পড়েন। ৫.১ ওভারে মাত্র ৮ রানের মধ্যে ওপেনার নিগার সুলতানা ও শায়লা শারমিনকে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪২ রান যোগ করেন ওপেনার সানজিদা ইসলাম ও ফারজানা হক। এই জুটিতে ভর করেই ২০ ওভারে রুমানাদের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৮। ফারজানা ১৫ রান করেন ৩১ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া। ওপেনার সানজিদা ক্যারিয়ার-সেরা ৩৮ রান করেন ৪৮ বলে এবং সেখানে ছিল মাত্র ১টি বাউন্ডারি। শেষ দিকে সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার সালমা খাতুন ১০ রানে অপরাজিত থাকেন ১২ বলে। সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম ৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৬ বলে এক বাউন্ডারিতে। স্বাগতিক থাইল্যান্ডের সফল বোলার ছিলেন লাওমি। তার স্পেল ছিল ৪-০-১৮-৩। তবে মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন বুচাথাম; স্পেল ৪-০-৫-১।
টার্গেট ৮৯ রান। খেলতে নেমেই প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। জাহানারা তৃতীয় ও চতুর্থ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়ে তোলেন। যদিও রুমানার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করা হয়নি। তার পরও তার গড়ে দেওয়া সূচনার ওপর ভর করেই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেন রুমানা ও পান্না। দুজনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৪ রানে হারায় শেষ ৭ উইকেট। অধিনায়ক রুমানা ৩.৩ ওভারের স্পেলে মাত্র ৫ রানের খরচে তুলে নেন ৩ উইকেট। পান্না ৪ ওভারে রান খরচ দেন ৯ এবং উইকেট নেন ৪টি। উইকেট না পেলেও মিতব্যয়ী ছিলেন রিতু মণি। ৪ ওভারের স্পেলে রান খরচ করেন মাত্র ৭। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮.৩ ওভারে ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় থাইল্যান্ড।দিনের আরেক ম্যাচে কুমারী ও রানাভিরার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৬.২ ওভারে মাত্র ২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে যা সবচেয়ে কম স্কোর। ২৪ রান তুলতে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হয় ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৮৮/৬, ২০ ওভার (সানজিদা ইসলাম ৩৮, নিগার সুলতানা ২, শায়লা শারমিন ০, ফারজানা হক ১৫, আয়েশা রহমান ২, রুমানা আহমেদ ৪, সালমা খাতুন ১০*, জাহানারা আলম ৯*। সুত্তিরুয়াং ১/৮, বুচাথাম ১/৫, লাওমি ৩/১৮)।
থাইল্যান্ড : ৫৩/১০, ১৮.৩ ওভার (সামটাম ২১, টিপোস ১০। জাহানারা আলম ২/২১, খাদিজাতুল কুবরা ১/১০, রুমানা আহমেদ ৩/৫, পান্না ঘোষ ৪/৯)।
ফল : বাংলাদেশ ৩৫ রানে জয়ী।