আর অপেক্ষা নয়। এক ম্যাচ আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। শেষ ম্যাচে হারলে অপরাজয়ের রেকর্ড ভাঙবে কিন্তু আবাহনীর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে না। শিরোপার উত্তেজনা শেষ ম্যাচ পর্যন্ত থাকত যদি প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী জয় পেত। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল এগিয়ে থেকেও মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১ গোলে ড্র করেন। এতে রাস্তাও পরিষ্কার হয়ে যায় ঢাকা আবাহনীর। সন্ধ্যায় দুর্বল প্রতিপক্ষ উত্তর বারিধারাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ঢাকা আবাহনী। এই জয়ে ২১ ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর ৪৯ পয়েন্ট। গতকাল ড্র করায় সমান সংখ্যক ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪৪-এ। শেষ ম্যাচে যদি রহমতগঞ্জের কাছে ঢাকা আবাহনী হেরেও যায় আর চট্টগ্রাম আবাহনী জিতে গেলেও কোনো লাভ হবে না। তখন দুই দলের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৪৯ ও ৪৭। বারিধারাকে হারানোর পর কোটান শিষ্যদের শুধু অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। অপরাজিতভাবে ট্রফি ঘরে তুলবে কি-না। পেশাদার লিগ শুরুর পর ঢাকা আবাহনীর এটি পঞ্চম শিরোপা। অন্যদিকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ৩ ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিগে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রথম তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপার রেকর্ডও আছে ঢাকা আবাহনীর। চার মৌসুম পর হারানো ট্রফি ফিরে পেল তারা। এবার প্রথম পর্বে দ্বিতীয় স্থানে থেকে ঢাকা আবাহনী লিগ শেষ করে। শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে বিজয়ের হাসি হাসে ঢাকা আবাহনী। ভালো মানের দল গড়লেও ধানমন্ডির দলটির চেয়ে তারকা ভরপুর ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ রাসেলে। কিন্তু পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় চট্টগ্রাম আবাহনী রানার্সআপ ও শেখ রাসেল এখন সাতে অবস্থান করছে।
১৯৭২ সালে আবির্ভাবের পর ঢাকা আবাহনী প্রথম লিগ জিতে ১৯৭৪ সালে। এরপর আর থেমে থাকেনি। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা মোহামেডানকে পেছনে ফেলে লিগে শিরোপা ভান্ডার মজবুত করেছে। এতেই ফুটে উঠেছে দক্ষ ব্যবস্থাপনা। এবার ফেডারেশন কাপেও চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। মৌসুমীর দুই ট্রফি জেতায় দলটির যোগ্যতার প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীও একেবারে খালি হাতে মৌসুম শেষ করছে না। স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন। তাছাড়া পেশাদার লিগে অংশ নেওয়ার পর এই প্রথম রানার্সআপ হলো। যাক ম্যাচ জিতলেও আবাহনীকে গতকাল ঘাম ঝরাতে হয়েছে।