বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

একাই লড়ছেন নাসির

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

একাই লড়ছেন নাসির

জাতীয় লিগে গতকাল তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে। স্পিনাররাও দারুণ বোলিং করেছেন। তিন স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজ, সাকলাইন সজীব ও মনির হোসেন ৫টি করে উইকেট নিয়েছেন। সেঞ্চুরি করেছেন নাসির হোসেন, সাইফ হাসান ও তাসামুল হক।

রংপুর-সিলেট : জাতীয় দলে জায়গা হয়নি নাসির হোসেনের। তাই নিউজিল্যান্ড সফরেও যাওয়া হয়নি। তবে উপেক্ষার জবাবটা জাতীয় লিগে ব্যাট হাতে দিচ্ছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। রংপুরের হয়ে গতকাল অপরাজিত এক সেঞ্চুরি করেছেন। ১৬০ বলে খেলেছেন ১০৫ রানের এক ইনিংস। ১৪ বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন রংপুরের এই তারকা ক্রিকেটার। নাসিরের এই ব্যাটেই মহাদুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে উত্তরাঞ্চলের দলটি। সিলেট বিভাগকে ২৭২ রানে আটকে দেওয়ার পর মাত্র ২৯ রানেই রংপুরের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যান। তবে নাসির একপ্রান্ত আগলে রেখে করেছেন তার স্বভাব সূলভ ব্যাটিং। তবে এখনো সিলেটের চেয়ে ৯৭ রানে পিছিয়ে রংপুর। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট। সিলেটের বোলার খালেদ আহমেদ ৩৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

ঢাকা-খুলনা : আগের দিন ঢাকা বিভাগের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন রকিবুল হাসান। গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন একই দলের সাইফ হাসান। ১০৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৩টি ছক্কার সঙ্গে ৬টি বাউন্ডারি। তবে সাইফ-রকিবুলের সেঞ্চুরির পর ঢাকার স্কোরটা যতটা হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং ব্যর্থতায় ঢাকা অলআউট হয়ে যায় ৩৬৬ রানে। খুলনার অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক অসাধারণ বোলিং করেছেন। জাতীয় দলের এই সাবেক তারকা স্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে দাপুটের ব্যাটিংয়ের পর ঢাকার বোলাররাও প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছেন।  ১৯৫ রানেই গতকাল খুলনা বিভাগের ৫ উইকেটের পতন ঘটেছে। তবে খুলনাকে পথ দেখাচ্ছেন তুষার ইমরান। ৭১ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।

রাজশাহী-চট্টগ্রাম : গতকাল ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের তাসামুল হক। ২১৫ বলে তিনি খেলেছেন ১০৪ রানের ধৈর্যশীল এক ইনিংস। তবে রাজশাহীর স্পিনার সাকলাইন সজীবের অসাধারণ বোলিংয়ে ৩১৫ রানেই আটকে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। তবে বোলারদের এনে দেওয়া সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। ২২৩ রানেই তাদের ৮ উইকেট শেষ। অথচ পদ্মাপাড়ের দলটির ব্যাটিংয়ের শুরুটা কী চমত্কার ছিল! এক সময় রাজশাহীর স্কোর ছিল এক উইকেটে ১৪৯, সেখান থেকে দিন শেষে তাদের স্কোর ৮ উইকেটে ২২৩। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি ও জুনায়েদ সিদ্দিকের ১৪৩ রানের জুটি ছাড়া আর কোনো জুটি ছিল না রাজশাহীর ইনিংসে। জহুরুল ৯০ এবং জুনায়েদ করেন ৬২ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা চট্টগ্রামের বোলারদের সামনে যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন।

বরিশাল-ঢাকা মেট্রো : বরিশাল বিভাগের স্পিনার মনির হোসেনের ঘূর্ণিতে ২৯২ রানেই অলআউট হয়ে যায় ঢাকা মেট্রো। গতকাল মেহেরাব হোসেন জুনিয়র ৬১ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পর আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মনির ৫১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে ব্যাট করতে নেমে বরিশালও সুবিধা করতে পারেনি। ১৬৫ রান করতে হারাতে হয়েছে ৫ উইকেট। এখনো তারা মেট্রোর চেয়ে ১২৭ রানে পিছিয়ে।

সর্বশেষ খবর