ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ জয় পেলেও চট্টগ্রাম টেস্টে জিতেছিল ইংলিশরা। কিন্তু ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল বল টেম্পারিংয়ের। অবশ্য অভিযোগটা কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছিল না। ইংল্যান্ড দলকে যেভাবে কাঠখড় পুড়িয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল তাই অভিযোগ করার ইচ্ছাও ছিল না বিসিবির। কেননা যদি ওই মুহূর্তে ইংল্যান্ড দল রাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায়! কিন্তু ম্যাচ শেষে সবাই কানাঘুষা করছিলেন, পকেট থেকে ইংলিশ বোলাররা তেল জাতীয় কি যেন বলে মাখছেন আর পুরনো বল চকচক করছে। যে কারণে বলে দারুণ রিভার্স সুইং হয়েছে। সাংবাদিক-ক্রিকেটার-কর্মকর্তা সবাই বিষয়টি জানলেও মিডিয়ায় আসেনি। দেশের পরিস্থিতির ভেবে মিডিয়া কর্মীরাও রিপোর্ট করেননি। অথচ সেই ম্যাচে একটুর জন্য জয় হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। এবার টাইগাররা নিউজিল্যান্ডেও নাকি একই রকম আরেকটি ঘটনার শিকার। মিডিয়ায় এসেছে পঞ্চম দিনের সকালে ওয়েলিংটনের উইকেট নাকি ভেজা ছিল। যে কারণে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে, কোচ হাতুরাসিংহে নাকি নিজে দেখেছেন পিচ কিউরেট পাশের উইকেটে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে পানি দিচ্ছেন। সে ছবি কোচ মোবাইলেও ধারণ করেছেন। আর কিউরেটকে নাকি কিউই কোচের সঙ্গে পরামর্শ করতেও দেখেছেন তিনি।
খেলা চলাকালীন মেইন উইকেটে তো নয়ই, পাশের উইকেটেও পানি দেওয়ার নিয়ম নেই। কেননা পাশের উইকেটের পানি শুষে নিয়ে মেইন উইকেট ভেজা ভেজা হয়ে যায়। আর উইকেট ভেজা থাকলে ব্যাটসম্যানদের জন্য মৃত্যুফাঁদ হয়ে যায়। সে কারণেই কিনা প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানের ইনিংস ঘোষণা করা দলটি অলআউট হয়ে গেল মাত্র ১৬০ রানেই। কোচ নাকি ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগও করেছেন। কিন্তু শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দুর্বল দলের অভিযোগ কতটা কার্যকর হবে তা তো কারও অজানা নয়। তবে এটা ঠিক যে, এমন ঘটনা ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হলে পঞ্চম দিনের খেলাই বাতিল করা হতো। সেক্ষেত্রে ম্যাচ ড্র। পাশাপাশি শাস্তি হতো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডেরও।
কিন্তু কাগজে-কলমে ক্রিকেটের আইন সবার জন্য সমান হলেও বাস্তবে তা নয়! সে কারণেই বাংলাদেশের কোচের অভিযোগও হয়তো পাত্তা পাবে না। কিন্তু এটা তো সত্য যে, কিউইদের যে ভদ্র ভাবমূর্তি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে ছিল, তা আর থাকছে না!