বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

কোটানকে পাবে কি বাফুফে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোটানকে পাবে কি বাফুফে

জর্জ কোটান

বাফুফের সিডিউল অনুযায়ী মার্চে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ হওয়ার কথা। হাতে সময় নেই, ভালো করতে হলে এখনি ফুটবলারদের প্রস্তুতির দরকার। ন্যাশনাল টিম কমিটি চেয়ে ছিল কোচ নিয়োগ দিয়ে অনুশীলন শুরু করতে। কিন্তু প্রস্তুতির বদলে এখন চলবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা। ন্যাশনাল টিম কমিটির ভাষ্য ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে শেখ কামাল টুর্নামেন্ট। খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকবেন এখানেই। অনুশীলন শুরু করা যাবে না সে ক্ষেত্রে কোচ নিয়োগ দেওয়াটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শেখ কামাল টুর্নামেন্টের আগেই কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ন্যাশনাল টিম কমিটি জানিয়েছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাচাই করে কোচ ফুটবলার পছন্দ করবেন।

তবে বাফুফের চিন্তা-ভাবনা ছিল এখনই কোচ নিয়োগ দেওয়া। প্রথমে বাফুফে থেকে বলা হয়েছিল দেশি কোচই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দায়িত্ব পালন করবেন। পরে বিদেশি কোচের দিকেই ঝুঁকে পড়ে। পছন্দের তালিকায় ছিলেন লোডডিক ক্রুইফ ও জর্জ কোটান। বিশেষ করে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের নাকি পছন্দ ছিল ক্রুইফকে। কেননা, দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকাতে বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে তার ভালো ধারণা হয়ে গেছে।

কিন্তু জাতীয় দল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। জর্জ কোটানই সবার পছন্দের তালিকায় এসে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ান এই কোচের হাত ধরে বাংলাদেশ ২০০৩ সালে ঢাকায় স্বপ্নের চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিতে। এরপর অনেক কোচ দায়িত্ব নিলেও বাংলাদেশ ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি। তাছাড়া কোটান এবার পেশাদার লিগে ঢাকা আবাহনীকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন করান। সব মিলিয়ে কোটানকে যোগ্য মনে করছেন বাফুফের কর্মকর্তারা। সালাউদ্দিনেরও পুরোপুরি সম্মতি আছে।

তারপরও কোচ নিয়োগে দেরি কেন? ন্যাশনাল টিম কমিটি কোচ কাকে নিয়োগ দেবে এই কথা স্পষ্ট করে বলছে না। কেউ কেউ আবার বলছেন, কোটানের ব্যস্ততার কারণে দ্রুত চুক্তি করা সম্ভব নয়। বাস্তবে নাকি এসব কিছুই না। কোটানের ডিমান্ড অনেক হওয়ায় বাফুফে পিছুটান নিয়েছে। বেতন হিসেবে ২৫ হাজার ডলার ছাড়াও কোটান আরও শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। যা বাফুফে মানতে চাচ্ছে না। বাফুফে চাচ্ছে, ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার দিতে। ক্রুইফ পেতেন ১২ হাজার ও তার সহকারী রেনে কোস্টার ৮ হাজার ডলার। এই বেতন দিতেই বাফুফেকে হিমশিম খেতে হয়েছে। বিশেষ করে বকেয়া পেতে রেনে কোস্টার ফিফার কাছে অভিযোগও করেছেন। কোটানকে কোনোভাবেই ২৫ হাজার ডলার বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি যদি বাফুফের বেঁধে দেওয়া অর্থ মানতে না চান তাহলে বাফুফে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর