মোহাম্মদ আশরাফুল টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর একজন। বহু জয়ের নায়ক আশরাফুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০১ সালে নিজের অভিষেক টেস্টে কলম্বোতে খেলেছিলেন ১১৪ রানের ইনিংস। ওই সেঞ্চুরিই তাকে অমরত্ব দিয়েছে ক্রিকেটে। সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হতে পারতেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। কাছাকাছি যেয়েও ইতিহাসের সোনালি পাতায় নাম লিখতে পারেননি। ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কিন্তু তার ১৯০ রানের ইনিংসটি গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্র করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। ২০১৩ সালে আশরাফুলের ১৯০, মুশফিকুর রহিমের ২০০ ও নাসির হোসেনের ১০০ রানে ভর করে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেবার টাইগাররা টেস্ট খেলেছিল ‘আন্ডার ডগ’ হয়ে। চার বছর পর সেই গলেই বাংলাদেশ নামছে নতুন স্বপ্ন নিয়ে। জয়ের স্বপ্ন বুকে ধারণ করে। নন্দিত তারকা আশরাফুলের দৃষ্টিতে এবারের সিরিজে বাংলাদেশ ফেবারিট। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-২০; কোনো সিরিজেই হারবে না টাইগাররা।
চার বছর আগে শ্রীলঙ্কা দলে ছিল কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, তিলকরত্নে দিলশানের মতো ক্রিকেটাররা। যারা একাই একটি ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিতে পারতেন। তিন ক্রিকেটার এখন অবসরে। নতুনদের নিয়ে পথ চলছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। তারপরও এই দল নিয়ে গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে অস্ট্রেলিয়াকে। সেই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ফেবারিটই বললেন সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল, ‘শ্রীলঙ্কা দলে এখন আর সাঙ্গাকারারা নেই। দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের হিসেবে এগিয়ে বাংলাদেশ। আমাদের অনেক ক্রিকেটার ১০-১১ বছর ধরে খেলছেন। সুতরাং আমি মনে করি আমরা এখন অভিজ্ঞ দল। আমার হিসেবে এবার আমাদের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। বিশ্বাস করি আমরাই ফেবারিট।’