সোমবার, ১ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফুটবলে ঘরের শত্রু বিভীষণ!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলে ঘরের শত্রু বিভীষণ!

দেশের ফুটবল নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। শিরোপা তো দূরের কথা একটি জয়ই যেন বাংলাদেশের কাছে স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। যে ভুটানকে নিয়ে ছেলেখেলা খেলতো। তাদের কাছে এখন বিধ্বস্ত হচ্ছে। ফুটবল যে ঘুরে দাঁড়াবে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। জনপ্রিয় খেলার কেন এই পরিণতি। কোনোভাবে ফুটবল বেঁচে আছে। তাও আবার ক্লাবগুলোর জন্য। এমন দুর্দশার মধ্যেও কোটি কোটি টাকা খরচ করে দল গড়ছে। ক্লাবগুলো পিছুটান নিলেই ফুটবলকে আর মাঠে দেখা যাবে না। এই অবস্থায় ফেডারেশনের কিছুই কি করার নেই।

বাফুফের বর্তমান নির্বাচিত কমিটির এক বছর পূর্তি হলো। উন্নয়নে প্রতিশ্রুতির জোয়ার বয়ে যায়। অথচ এক বছর চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে নারী দলের সাফল্য ছাড়া প্রাপ্তির কিছুই নেই। এক বছর বললে ভুল হবে, ২০০৮ সাল থেকে কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় একই কমিটি আছে। ৯ বছরের ফুটবল শুধু পেছনের দিকেই হাঁটছে। দেশখ্যাত ফুটবলাররা থাকা অবস্থায় এমন চরম বিপর্যয় ভাবাই যায় না। ব্যর্থতার জন্য কমিটিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কি তলিয়ে দেখা হয়েছে এত সমালোচনা এত তিরস্কার তারপরও উন্নয়নের ব্যাপারে বাফুফে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না কেন? বাংলাদেশের মান কখনো গর্ব করার মতো ছিল না। কিন্তু জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এখন তো সবই শেষ।

ফুটবলে এই বেহাল দশার জন্য বাফুফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করা যায়। এ যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ। তারা নিজেদের সমালোচনা নিয়েই ব্যস্ত। মিলে মিশে কাজ করার নজির নেই। নির্বাহী কমিটির একজন কর্মকর্তা কথায় কথায় সভাপতি সালাউদ্দিনের সমালোচনা করে থাকেন। বলেন, উনি ওনার ইচ্ছামতো ফেডারেশন চালাচ্ছেন। কাউকে কাজ করতে দেন না। অথচ এই কর্মকর্তা প্রতিবারই সালাউদ্দিন সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং জিতেও যাচ্ছেন। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে ফুটবলের উন্নয়ন হবে কীভাবে? এক কমিটিতে গ্রুপিংয়ের শেষ নেই। আবার নির্বাচনের বেলায় এক হয়ে যাচ্ছে। মান নিয়ে কোনো খবর নেই। কিন্তু ফুটবল নিয়ে তারা যে খেলা খেলছে তাতেই অন্ধকারে বন্দী হয়ে আছে ফুটবল। সুতরাং যতই কর্মসূচি বা পঞ্জিকা দেওয়া হোক না কেন নিজেদের মধ্যে মিল না থাকলে ফুটবলে দুর্দশা কাটবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর