হাশিম আমলার দুরন্ত ফর্মই দক্ষিণ আফ্রিকাকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল। তিনি ধারাবাহিকভাবে সফলও হচ্ছিলেন। এই যেমন টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৩ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আমলা ছাড়া সেই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছিলেন ডু প্লেসিসও। তবে গতকাল বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সফল হতে পারেননি আমলা। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ১৬ রান করেই সাজঘরে ফিরেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ইমাদ ওয়াসিমের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল যেন বর্তমানে পুরোপুরিই আমলানির্ভর। তার বিদায়ের পরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ব্যাটিং অর্ডার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও দেখা গেছে একই চিত্র। আমলা ছাড়া সেই ম্যাচে ডু প্লেসিস আর ডুমিনি উল্লেখযোগ্য রান করেছেন। বাকিদের অবদান ছিল খুবই কম। গতকাল আমলার বিদায়ের মধ্য দিয়েই যেন দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের পতন শুরু হয়। হাফিজ-ইমাদ-হাসানরা চেপে ধরেন প্রোটিয়াসদের। আমলার পর ডি কককে (৩৩) ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ হাফিজ। উইকেট পতনের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সও (০) বিদায় নেন দলীয় ৬১ রানে। ইমাদের বলে তিনি হাফিজকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমলাকে সঙ্গ দেওয়া ডু প্লেসিসও (২৬) বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হাসান আলি। এছাড়া ডুমিনি ৮ ও পারনেল শূন্য রানে আউট হন। ১১৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত মিলারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৯ রান সংগ্রহ করে। লো স্কোরিং টার্গেট হলো পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। ৪১ রানে তাদের ২ উইকেট পড়ে যায়। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখার সময় পাকিস্তান ২৭ ওভারে ১১৯ রান সংগ্রহ করেছে ৩ উইকেটে। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরদ. আফ্রিকা : ২১৯/৮, (৫০ ওভার)। মিলার ৭৫*, ডি কক ৩৩, হাসান ৩/২৪,
পাকিস্তান : ১১৯/৩ (২৭ ওভার)। বাবর ৩১, হাফিজ ২৬, মরকেল ৩/১৩ (অসমাপ্ত)