শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

বকেয়ার বোঝা বাফুফের কাঁধে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বকেয়ার বোঝা বাফুফের কাঁধে

ক্রিকেট ঘিরেই যত আলোচনা। দেশের ফুটবল একেবারেই নীরব বলা যায়। জুনের ১২ তারিখ থেকে পেশাদার লিগ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে। জুলাই মাঝামাঝি সময়ে লিগের পর্দা ওঠার কথা। কিন্তু তা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ক্লাবগুলোর দাবির মুখে বাফুফে লিগ পিছিয়েছে। এ ব্যাপারে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর একটাই কথা লিগ খেলবে ক্লাব এখানে তাদের কথা শুনতে হবে। কথা হচ্ছে জুলাই মাসে লিগ শুরু করা যাবে কিনা? কারণ ক্লাবগুলো এখনো গত মৌসুমের অংশগ্রহণ অর্থ ছাড়াও বড় অংকের টাকা পাবে লিগ কমিটির কাছে। কোনো কোনা ক্লাব নাকি কোটি টাকাও পাবে। ক্লাবগুলো বলছে লিগ খেলতেই আমরা অর্থ খরচ করে দল গড়েছি। কিন্তু বাফুফে আমাদের পাওনা টাকা দেবে না কেন? অর্থাৎ ক্লাবগুলো যদি বলে বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত মাঠে নামবে না তখন কি হবে?

টাকা দিলেই ঝামেলা চুটে যায়। বাফুফেও বলছে সব টাকা আমরা অবশ্যই পরিশোধ করব। কিন্তু কবে দেবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ বাফুফেই স্বীকার করছে তাদের পর্যাপ্ত ফান্ড নেই। কিছুদিন আগে কোচ মারুফুল হক তার বকেয়া টাকা পেতে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের সঙ্গে দেখা করেন। এতেই ফেডারেশনের অসহায়ত্বের চেহারা ফুটে উঠেছে। বকেয়ার বোঝা নিয়ে বাফুফের তাদের কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালনা করবে সেটাই প্রশ্ন।

এর মধ্যে আবার নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাও আবার বিদেশি। লোডডিক ক্রুইফের বেতন নিয়ে বাফুফেকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। সহকারী কোচ রেনেকোস্টারতো বেতন না পেয়ে এএফসির কাছে নালিশও করেছেন। নতুন কোচ হয়েছেন অ্যান্ডু ওড। কোচের বেতনের ব্যাপারটি বাফুফে কখনো খুলে বলে না। কোচরাই পরে তা বলে দেন। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অ্যান্ডুকে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। মূলত তাকে নেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের প্রশিক্ষক হিসেবে। সামনে জাতীয় দলের ব্যস্ততা নেই। অস্থিরতার মধ্যে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও কবে হবে তার ঠিক নেই। তাই বলে অ্যান্ডু বসে থাকছেন না। অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে নিয়ে বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন। এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ফিলিস্তিন, জর্ডান ও তাজিকিস্তানের সঙ্গে লড়তে হবে। ফল যে সুখবর হবে না তা অস্ট্রেলিয়ান কোচ ভালোমতোই জানেন।

অ্যান্ডু চাচ্ছেন এখান থেকে প্রতিভা বের করে জাতীয় দলে কাজে লাগান। অন্য বিদেশি কোচের মতো অ্যান্ডুও বলেছেন তার লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়ন। ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সাফ ট্রফি স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ব্যর্থ হওয়ায় বিদেশি কোচদের বিদায় নিতে হয়েছে। অ্যান্ডুর কপালে তা জুটবে কিনা সময় বলে দেবে। তবে বাফুফের লক্ষ্য রাখতে হবে বেতন নিয়ে অ্যান্ডুর সঙ্গে ঝামেলা না বাঁধে। বার বার একই ঘটনা ঘটায় এএফপি ও ফিফা বাফুফের ওপর ক্ষুব্ধ। প্রশ্ন উঠেছে ফান্ড যদি নাই থাকে তাহলে বিদেশি কোচ এনে বিলাসিতা দেখিয়ে লাভ কি?

সর্বশেষ খবর