ব্যবধান গড়ে দিয়েছে বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কার ৩০১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ২১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর যখন খেলা শুরু হয়, তখন জিম্বাবুয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৩১ ওভারে ২১৯ রান। অর্থাৎ পরের ১১ ওভার থেকে তাদের দরকার ছিল ৮০। জিম্বাবুইয়ানরা ১০ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটে জিতে যায়। এই জয়ে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ২-২ সমতা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন অঘোষিত ফাইনাল।
আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও লঙ্কান দুই ওপেনার ডিকওয়েলা ও গুনাথিলাকা দুই শতাধিক রানের জুটি গড়েন। টানা দুই ম্যাচে দুটি অসাধারণ জুটি গড়ে রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়েছেন লঙ্কান দুই ওপেনার। আগের ম্যাচের মতো গতকাল সেঞ্চুরি করেছেন ডিকওয়েলা। তবে আরেক ওপেনার গুনাথিলাকা সেঞ্চুরি করতে না পারলেও খেলেছেন ৮৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। দুই ওপেনারের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৩০০ রানের বড় স্কোর গড়ে শ্রীলঙ্কা। তারপরও জিততে পারেনি লঙ্কানরা।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ডিকওয়েলা। খেলেছেন ১১৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। গুনাথিলাকার সঙ্গে তার ওপেনিং জুটিটা দারুণ জমে উঠেছে। ছয় ম্যাচ খেলে তার মধ্যে দুই ম্যাচেই দুটি দুটি ডাবল সেঞ্চুরি জুটি গড়েছেন। গতকাল তাদের ঐতিহাসিক জুটির পরও দল জিততে পারেনি। ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে জিতে যায় জিম্বাবুয়ে।দারুণ ব্যাটিং করেছেন জিম্বাবুয়ের তারকা ব্যাটস শন আরভিন। ৫৫ বলে খেলেছেন ৬৯ রানের হার না মানা ইনিংস। এছাড়া জিম্বাবুয়ের ইনিংসে আর কোনো হাফ সেঞ্চুরিও নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছিল ওপেনার মুরের ব্যাট থেকে। ৩০ রান করেছিলেন মুসাকান্দা। ২৮ রান এসেছে মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। কাল জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের মিলিত সংগ্রহই দলকে নিয়ে গেছে জয়ের বন্দরে।
বিজীয় দলের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার বলেন, ‘বৃষ্টির সময় জানতাম, ম্যাচে আমরাই এগিয়ে আছি। তারপর তো জিতেই গেলাম। আর অসাধারণ ব্যাটিং করেছি। সিরিজটা জিততেই হবে এমন কোনো চাপ নেই। তাই আমরা চাপ মুক্ত থেকেই ভালো খেলতে চাই।’
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস বলেন, ‘৩০০ বড় স্কোরই। কিন্তু জিম্বাবুয়ে অসাধারণ খেলেছে। সিরিজটা বেশ জমে উঠেছে। তবে জিততে হলে শেষ ম্যাচে আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৩০০/৬ (৫০ ওভার) (ডিকওয়েলা ১১৬, গুনাথিলাকা ৮৭, ম্যাথুস ৪২; এমপোফু ২/৬১, ওয়ালার ২/৪৪, চাটারা ১/৩২)
জিম্বাবুয়ে : ২১৯/৬ (২৯.২ ওভার) (আরভিন ৬৯*, মাইর ৪৩, মুসাকান্দা ৩০; ডি সিলভা ৩/৪০, চামিরা ১/৩২, গুনারত্নে ১/৪১)। ফল : জিম্বাবুয়ে ডি/এল পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : আরভিন।