গতবারের অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। এবার শুরুটাও করেছিল সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে। গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে। শক্তির বিচারে আবাহনীর সামনে ফরাশগঞ্জের দাঁড়ানোর কথা নয়। গ্যালারিতে হাতে গোনা দর্শক নিশ্চিত ছিলেন চ্যাম্পিয়নরা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে। কর্দমাক্ত মাঠ পিচ্ছিল হলেও শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল আবাহনীর। যেভাবে আক্রমণ চলছিল তাতে মনে হচ্ছিল যে কোনো সময় ফরাশগঞ্জের জালে বল জড়িয়ে যাবে।
হ্যাঁ, বল জড়িয়েছে ঠিকই, তবে চ্যাম্পিয়নদের জালে। ৭৬ মিনিটে অচেনা-অজানা তরুণ তৌহিদুর জামান লিটন আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন। আর এ গোলেই স্মরণীয় জয় এনে দেয় আবাহনীর বিপক্ষে ফরাশগঞ্জকে। গত বছর বেশকটি ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও শেষমুহূর্তে নাটকীয়ভাবে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল আবাহনী। গতকাল ৭৬ মিনিটে গোল খেলেও আবাহনীই জিতবে এ ধারণা অনেকেরই ছিল। কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় পুরো পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। বিশেষ করে রুবেল মিয়া জাল চিনতে পারলে প্রথমার্ধেই আবাহনী কম করে হলেও ২ গোলে এগিয়ে থাকত। তবে এ জন্য ফরাশগঞ্জের রক্ষণভাগেরও প্রশংসা করতে হয়। দৃঢ়তার সঙ্গে আক্রমণ রুখে দেয় তারা।
৮৭ মিনিটে রুবেলের শট সরাসরি প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়। ইনজুরি টাইমে ল্যান্ডিংয়ের ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফেরত এলে আবাহনীর হার নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপরও রুবেল ফরাশগঞ্জের জালে বল পাঠান। কিন্তু অফসাইডে থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। লিগ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। এই হারে আবাহনীর বড় ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাবে না। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়নদের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও তো চিড় ধরবে।