শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুব বেশি আফসোস নেই


খুব বেশি আফসোস নেই

 

একদিন পরেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু ঢাকা টেস্ট। কঠোর অনুশীলন করছেন টাইগাররা। সিরিজের দুই টেস্টেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ। গতকাল অনুশীলনের পর সিরিজ নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন সাকিব আল হাসান—

 

নিজের ৫০তম টেস্ট প্রসঙ্গে...

প্রথম টেস্ট খেলার সময় চিন্তা ছিল না যে কতোটা টেস্ট খেলব। সে সময় একটা মজা ছিল। সেটা এখন নেই। কিন্তু এখন পরিবেশ অন্য রকম, দায়িত্ব... সব কিছুই আলাদা।

স্পিন কোচ সুনীল যোশী কেমন?

আজকে (গতকাল) তার সঙ্গে প্রথম কাজ করলাম। কথা বলে খুব ভালো লেগেছে। কমেন্ট করার জন্য সময় লাগবে।

অস্ট্রেলিয়া আপনাকে এবং মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করছে। আপনার পরিকল্পনা কি?

এখনো তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে এ বছর খুব ভালো যাচ্ছে। চেষ্টা থাকবে আরও ভালো করার।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং না বোলিংকে হুমকি মনে করেন?

টেস্ট জিততে হলে আমাদের সব কিছুই ভালো করতে হবে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ভালো করতে হবে। ওরা যে দলই, যে পরিবেশই আসুক, সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। বিশ্বের যে কোনো জায়গায় দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে; এটা ওদের চেয়ে ভালো কেউ পারে না। ওরা তাই আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। যদিও ওরা কিছুটা অনভিজ্ঞ।

৫০ টেস্ট খেলতে সময় লাগলো ১০ বছর...

জীবনে খুব বেশি আফসোস নাই। ওদিক চিন্তা করলে যা হয়েছে, তাতেই খুশি। বেশি খেলতে পারলে ভালো লাগতো।  খেলতে পারি নাই বলে আফসোস নাই। যতোগুলো ম্যাচ খেলেছি, তাতে কতোটা পারফর্ম করেছি, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দুটি ম্যাচ চেষ্টা করব ভালো কিছু করতে।

টেস্ট ক্যারিয়ারে স্মরণীয় ম্যাচ ও সেরা পারফরম্যান্স কোনটি?

স্মরণীয় টেস্ট ইংল্যান্ডেরটা (২০১৬ সালে)। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ৯২ করেছিলাম, সেটা মনে পড়ছে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭, বড় অর্জন ছিল। বোলিংয়ের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কেমন উইকেট চান?

যে কোনো উইকেটে ও পরিবেশে আমাদের ওদের চেয়ে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। যেহেতু হোম কন্ডিশন আমাদের উচিত হবে দ্রুত মানিয়ে নেয়া। উইকেটে যদি স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকে, তবে আমার জন্য ভালো। যেহেতু আমি একজন স্পিনার। একই সঙ্গে আমাদের পেসারদেরও কিন্তু উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে, তারা দক্ষ।

১০ বছর খেলার পর একটা দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট...

এটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। ওদের সঙ্গে নানা সময়ে ওয়ানডে বা টি-২০ খেলেছি। টেস্ট এই প্রথম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওদের সঙ্গে একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে। একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার।

অস্ট্রেলিয়াকে কী হারানোর এটাই সেরা সময়?

আমাদের দলের অবস্থা খুব ভালো। কিন্তু এটাই সেরা সুযোগ কিনা তা বলা মুশকিল। কারণ ওদের বিপক্ষে তো  খেলিইনি আগে। খেললে আসলে বলতে পারতাম। বাাংলাদেশ দল জিততে পারলে সেটাই বড় ব্যাপার।

বেন স্টোকসকে আউট করার পর আপনার ‘স্যালুট সেলিব্রেশন’ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল...

সিচুয়েশনের উপর ডিপেন্ড করে। হয়তো অনেক কিছু চিন্তা করে রাখলাম, কিন্তু সময়মতো কিছু করলাম না; আবার এমনও হয় কিছুই ভাবিনি, কিন্তু সেলিব্রেট করেছি। সুযোগ আসবে। উইকেট পেলে সুযোগ আসবে।

বোলিংয়ে কতটা চাপ অনুভব করেন?

এখন মিরাজ-তাইজুল খুবই ভালো বোলিং করছে। তাদের আগে সাপোর্ট করেছে কখনো রাজ ভাই, কখনো রফিক ছিল, কিছুদিন। আগে যেটা হতো, হেল্পফুল উইকেট পেতাম না। কারণ তখন জেতার সুযোগ ছিল না, চিন্তা ছিল না। এখন তো  জেতার জন্যই খেলব বলে চিন্তা করি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেলেই রেকর্ড হবে...

এটা আমার মনে আছে। চারটা ইনিংস আছে, দেখা যাক। কতোটা বেশি অবদান রাখতে পারি, সেটাই বড়। দেখা গেল অন্য কেউ ভালো বোলিং করে পাঁচ উইকেট পেল, দলের জন্য সেটা ভালো। উইকেট পাওয়াটা নিজের হাতে নাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর