মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সুযোগ পেলেন মাহমুদুল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সুযোগ পেলেন মাহমুদুল্লাহ

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের টেস্ট দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দুই টেস্টের দলে নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দলে জায়গা পেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কন্ডিশনের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন নাসির হোসেন। মাঝে এক সিরিজ পর দলে ফিরেছেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও শুভাশিস রায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটের কথা চিন্তা করে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার। স্পিনার রয়েছেন দুজন। এ ছাড়া বাকি আটজনই ব্যাটসম্যান।

টানা ক্রিকেট খেলার কারণে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত সাকিব। তাই টেস্টে না খেলার জন্য বোর্ডের কাছে ছয় মাসের বিশ্রাম চেয়েছেন। এজন্যই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দলে রাখা হয়নি তাকে। সাকিবের জায়গায় নেওয়া হয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। তবে বোলিংয়ের কথা চিন্তা করে স্পিনার তাইজুলকেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে।

সাকিব না থাকায় দল নির্বাচন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন নির্বাচকরা। কেননা, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার দলে একাই দুই ক্রিকেটারের ভূমিকা পালন করেন। দলের সেরা ব্যাটসম্যান, অন্যতম সেরা বোলারও। গতকাল দল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘সাকিবকে ছাড়া এখনো দল চিন্তা করতে পারি না আমরা। সে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। কিন্তু এখন তাকে ছাড়াই চিন্তা করতে হবে। সে ইনজুরিতেও তো থাকতে পারত। তখনো তো বিকল্প চিন্তা করতেই হতো।’ নান্নু বলেন, ‘সাকিবের না থাকাটা চিন্তার বিষয়। দল নির্বাচনের আগে সবার আগে ওর নাম লিখতে হয়। আমিও খেলোয়াড় ছিলাম। তাই সাকিবের বিষয়টা বুঝি। মন যদি না চায় কিছু করার নেই। ও চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে। ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত।’

সব শেষ দুই টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন না মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটের কথা চিন্তা করে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। রিয়াদ সম্পর্কে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘বাউন্সি উইকেটে সে ভালো করে। এর ওপর সাকিব নেই। এজন্যই তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’ দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে ভালোই ব্যাটিং করেছেন নাসির হোসেন। এর পরও জায়গা হয়নি দলে। নাসিরকে দলে না নেওয়ার ব্যাখ্যায় নান্নু বলেন, ‘আমরা হোমে এক ধরনের ক্রিকেট খেলি এবং বাইরে এক রকমের। দুই জায়গার জন্য আমাদের পরিকল্পনাও থাকে আলাদা। তাই সে ভারসাম্য রেখেই দল গঠন করি। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি কন্ডিশনের কথা চিন্তা করেই বাদ রাখা হয়েছে নাসিরকে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যর্থ হয়েছেন ইমরুল কায়েস। এর পরও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাকে। ইমরুল সম্পর্কে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফর চ্যালেঞ্জিং। নতুন কাউকে দিয়ে ভালো করানো কঠিন। তাই আমরা তাকে আরেকটা সুযোগ দিয়েছি। ইমরুল অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।’

বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছে স্পিনে ভর করে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে দাপট দেখাবেন পেসাররাই। তাই দলে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার। মুস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেলের সঙ্গে ফিরেছেন শফিউল ও শুভাশিষ। তবে সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে ব্যাটসম্যানদের জন্য। সাকিব না থাকায় বাংলাদেশ দল ব্যাকফুটে চলে গেছে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক, ‘এটা ঠিক যে, উপমহাদেশের বাইরে যেখানেই যাই ভালো করতে পারি না। এই সিরিজটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। যারা সুযোগ পেয়েছে তাদের জন্য কঠিন হবে। তবে আমরা চেষ্টা করেছি সেরা দল নির্বাচন করতে।’

সর্বশেষ খবর