এক সময় টেনিস দুনিয়া শাসন করতেন পিট সাম্প্রাস আর আন্দ্রে আগাসিরা। ওদের যুগ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ফেদেরার আর নাদাল যুগ। সর্বকালের সেরা টেনিস তারকা হিসেবে রজার ফেদেরার আসন গ্রহণ করেছেন অনেক দিন আগেই। কিন্তু রাফায়েল নাদালও কম যাননি। সর্বকালের সেরাদের অন্যতম তিনি। ক্লে কোর্টে নিঃসন্দেহে সবার সেরা। শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ে নাদাল এবার ফেদেরারকে স্পর্শ করার ইঙ্গিতই দিলেন। ইনজুরি থেকে ফেরার পর বেশ কিছুদিন কঠিন লড়াই করতে হয়েছে তাকে। তবে ফ্রেঞ্চ ওপেনে দশম শিরোপা জয়ের মাধ্যমেই পূর্ণ রূপে ফিরেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। এবার ক্যারিয়ারের ১৬তম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জয় করেছেন নাদাল। গত রবিবার গভীর রাতে ইউএস ওপেনের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসনকে ৬-৩, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন তিনি।
গত পাঁচটা গ্র্যান্ডস্লাম জয় করেছেন ত্রিশোর্ধ্ব তারকা। পুরুষ এককে এই ঘটনা তরুণদের জন্য বড় ধাক্কাই। রজার ফেদেরার ১৯টি গ্র্যান্ডস্লাম জয় করে সবার ওপরে অবস্থান করছেন। রাফায়েল নাদাল ১৬টি গ্র্যান্ডস্লাম জিতে ফেদেরারের রেকর্ডটাকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। ৩১ বছরের নাদালের পক্ষে আরও তিনটি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জয় করা খুবই সম্ভব। ফেদেরারকে যদি এখানেই থামতে হয়, তবে নাদাল হয়তো একদিন ছাড়িয়ে যাবেন তাকে! এখনো অবশ্য সেই হিসাবের অনেক বাকি আছে। বর্তমানটা হলো, ২০০৩ সালের পর থেকে ৫৮টা গ্র্যান্ডস্লামের মধ্যে ৫৩টা গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা ভাগ করে নিয়েছেন মাত্র পাঁচজন! ফেদেরার ১৯টি, নাদাল ১৬টি, জকোভিচ ১২টি এবং অ্যান্ডি মারে ও স্ট্যান ওয়াওরিঙ্কা ৩টি করে গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জয় করেছেন।
নাদাল এখন আগের চেয়ে কম ভয়ঙ্কর নন। এবারের ইউএস ওপেনেই যেমন দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। প্রথমদিকে কিছুটা সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে ধার বেড়েছে তার। এই নাদাল কতদূর যাবেন বলা মুশকিল। তবে সহজেই যে তিনি থামবেন না তা বোধহয় বলাই যায়।কোচ হিসেবে নাদালকে সব সময়ই আগলে রেখেছেন তার চাচা টনি নাদাল। রাফা বলেন, ‘আমার জন্য তিনি যা করেছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। হয়তো তাকে ছাড়া আমার টেনিসই খেলা হতো না।’ সত্যিই বলেছেন নাদাল। সর্বকালের সেরা তারকাদের একজন এই নাদাল ফুটবল খেলতে শুরু করেছিলেন ছেলেবেলায়।