শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

জুলফিকারের গোলে শেখ রাসেলের স্বস্তি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জুলফিকারের গোলে শেখ রাসেলের স্বস্তি

প্রথমার্ধে কেউ গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে সেই কাঙ্ক্ষিত গোল এলো জুলফিকারের চমৎকার হেডে। আর এই গোলই শেখ রাসেলকে এনে দেয় মূল্যবান ৩ পয়েন্ট —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শক্তিশালী দল গড়েও শেখ রাসেল গত বছর কোনো ট্রফি জিততে পারেনি। এবার তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে জনপ্রিয় দলটি যেভাবে শুরু করেছিল তাতে সমর্থকদের মাঝে আশার আলো জেগে উঠেছিল। মৌসুমের প্রথম ট্রফি ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে ফাইনাল খেলতে পারেনি। লিগের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধাকে দাঁড়াতেই দেয়নি। এমন জয় দেখে মনে হচ্ছিল শিরোপা রেসে ভালোভাবে টিকে থাকবে দলটি। কিন্তু ছন্দ যেন হারিয়ে ফেলেছেন মানিকের শিষ্যরা।

ব্রাদার্সের সঙ্গে ড্র করার পর টানা ম্যাচ হেরে শিরোপার রাস্তাটা খুবই কঠিন করে ফেলে জনপ্রিয় দলটি। শেখ রাসেল ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে জয়ে ফিরে এলেও মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করে মূল্যবান পয়েন্ট হারায়। এই ম্যাচে হেরে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। কেননা মোহামেডান কমপক্ষে অর্ধ ডজন গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছিল।

গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় টিম বিজেএমসির বিপক্ষে। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও শেখ রাসেল যে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে তাতে তাদের জয় নিয়ে সংশয় ছিল। যাক, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পেশাদার লিগে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

গতকাল তারা ১-০ গোলে বিজেএমসিকে হারিয়ে মূল্যবান পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। প্রাথমার্ধে গোল শূন্য ড্র থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটে জুলফিকার চমৎকার হেডে গোলটি করেন। চট্টগ্রাম আবাহনী, শেখ জামাল ও ঢাকা আবাহনীর কাছে হার মেনেছে শেখ রাসেল। ডিফেন্ডাররা একটু সতর্ক থাকলেই তিন ম্যাচেই হার এড়ানো যেত। প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামাল না দেওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। বিজেএমসির অতীত সুখকর হলেও পেশাদার ফুটবল লিগে আবির্ভাবের পর শক্তিশালী দল গড়তে পারেনি।

এবার তো জোড়াতালি দিয়েই দল গড়েছে বলা যায়। এর পরও চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর সঙ্গে ড্র করে চমক দেখিয়েছে। সুতরাং দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও শিষ্যদের সতর্ক করেই মাঠে নামান কোচ মানিক।

স্বস্তির জয় পেয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ রাসেল। প্রথম পর্বের আট ম্যাচ শেষ করল শেখ রাসেল। খেলা বাকি রয়েছে সাইফ স্পোর্টিং, রহমতগঞ্জ ও আরামবাগের বিপক্ষে।

সাইফ নিঃসন্দেহে বড় দল। ৭ পয়েন্ট হারালেও শিরোপা রেসে ভালোভাবেই টিকে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শেখ রাসেলকে জিততে হলে সবাইকে জ্বলে উঠতে হবে। রহমতগঞ্জ ও আরামবাগকেও ফেলে দেওয়া যায় না। বড় দলের পয়েন্ট কেড়ে নেওয়ার তাদের জুড়ি নেই।

এই তিন ম্যাচে কী হবে তার ওপরই নির্ভর করছে প্রথম পর্বে শেখ রাসেলের অবস্থান। চট্টগ্রাম আবাহনী ৮ খেলায় ২২ পযেন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। শেখ জামাল ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে। ঢাকা আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং ১৭ পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে।

আট ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে এলো শেখ রাসেল। শিরোপা রেসে ফিরতে হলে তাদেরকে এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে রেসে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

সর্বশেষ খবর