টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে করুণ রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। প্রোটিয়াদের ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যে চারটি টেস্ট খেলেছে সেগুলোর একটিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ ছিল না। চার ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। ৯ বছর পর সেই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই আবার সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এবার যাচ্ছে অন্য বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর। যদিও দুই টেস্ট সিরিজে দলের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তারপরও বাংলাদেশের ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। মিডিয়াকে তিনি বলেন, ‘৯ বছর আগের ও এখনকার ক্রিকেটের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য রয়েছে। এখন দল অনেক পরিণত, অনেক বেশি টেস্ট খেলেছে। পাশাপাশি ওয়ানডে এবং টি-২০ খেলেছে। গত কয়েক বছরে আমরা অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় পেয়েছি। টেস্ট ক্রিকেটে গত এক বছরের ধারাবাহিকতায় আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভালো কিছু হবে।’
ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কাকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে। তাই টাইগাররা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। যদিও অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ হারিয়েছে স্পিন উইকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু এটা তো সত্য যে সর্বশেষ তিন সিরিজে তিনটি জয় পাওয়ায় মুশফিকদের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যেটা কয়েক বছর আগেও ছিল না।
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2017/September/15-09-2017/Bd-pratidin-FS-15-09-17-06.jpg)
দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে দলে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসারকে। প্রধান নির্বাচক পেসারদের নিয়ে বেশ আশাবাদী, ‘আমাদের পাঁচজন ফাস্ট বোলার আছে, তাদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ আছে ভালোভাবে পারফর্ম করার। আমাদের পেসাররা এখন যথেষ্ট পরিণত। আশা করি ওখানে তারা ভালো করতে পারবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ভালো করতে পারেননি। মিনহাজুলের বিশ্বাস, সামনের সিরিজেই তারা রানে ফিরতে পারেন। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘খেলোয়াড় ফর্মে না থাকলে দুশ্চিন্তা থাকবেই। তারপরও আমি মনে করি স্পিনিং ট্র্যাক আমাদের জন্য খেলা কঠিন ছিল। ওখানে বাউন্সের পাশাপাশি অনেক গতিসম্পন্ন উইকেটে খেলা হবে। আমাদের টপ অর্ডারে যারা আছে, তাদের সামর্থ্য আছে ভালো করার। আমি আশা করি শিগগিরই টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরবে।’