মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মুশফিককে চারে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ আশরাফুলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুশফিককে চারে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ আশরাফুলের

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ৯ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা গেল বাংলাদেশ। এবার নিয়ে তৃতীয়বার দেশটিতে সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আগের দুটি সিরিজের চার টেস্টের ব্যবধান ইনিংস হার। বিপরীত কন্ডিশন হলেও এবার সমানে সমানে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। দেখার অনেক কারণও রয়েছে। গত দুই বছরে দেশে ও বাইরে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-২০-তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন মুশফিকরা। তাই ডেল স্টেইন, ফিল্যান্ডার, জ্যা ডুমিনিদের ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো কিছুর আশা করছে বাংলাদেশ। ২৮ সেপ্টেম্বর-২ অক্টোবর প্রথম টেস্ট এবং ৬-১০ অক্টোবর দ্বিতীয় টেস্ট। টেস্ট দুটিতে ভালো করার জন্য কিছু পরামর্শ রয়েছে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল। সফরে বাংলাদেশকে ভালো করতে তিন পেসার ও সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। শুধু তাই নয়, টেস্টে তিনি বর্তমান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে উইকেট কিপিং ছেড়ে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে এবং ৪ নম্বরে ব্যাট করতে বললেন। 

২০০৮ সালে আশরাফুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেবার আফ্রিকা সফর করলো, তখন মুশফিক কিপিং করেছেন। কিন্তু ব্যাটিং করেছেন ৭ ও ৮ নম্বর পজিশনে। এর মধ্যে ৮ নম্বর পজিশনে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংসও রয়েছে তার। টাইগার অধিনায়ক এখন অনেক পরিণত ক্রিকেটার। দেশের সবচেয়ে টেকনিক্যাল ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তার ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। কেন চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করেননি, তারও উত্তর দিয়েছেন মুশফিক। আফ্রিকা যাওয়ার আগে নিজের ব্যাটিং নিয়ে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ মানবেন। প্রয়োজনে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলবেন। ৬১ টেস্টে ২৭৩৭ রান করা আশরাফুল পরামর্শ দিয়েছেন মুশফিক যেন টেস্টে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেন, ‘১২০-১৩০ ওভার কিপিং করে আবার উপরের দিকে ব্যাটিং করা কষ্টকর। তাই আমি মনে করি মুশফিক যেন কিপিং না করে ৪ নম্বরে ব্যাটিং করেন। আমি মনে করি টেকনিক্যালি বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান।’

শুধু মুশফিকের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নয়, দলের একাদশে তিনজন পেসার খেলানোর কথাও বললেন আশরাফুল, ‘দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটগুলো অন্য দেশের চেয়ে একটু ভিন্ন। ওখানকার উইকেটগুলো হার্ড ও বাউন্সি। বল একটু বেশি মুভমেন্ট করে। তাই আমি মনে ওখানে ভালো করতে হলে সুইং থাকা দরকার। সেক্ষেত্রে একাদশের ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে চার পেসার না খেলিয়ে তিনজন খেলানো উচিত। আমার মতে মুস্তাফিজ, তাসকিন ও শুভাশীষকে নিয়ে  পেস অ্যাটাক সাজানো উচিত। স্পিনার হিসেবে মিরাজকে দেখা যাবে একাদশে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৮টি। দুটি ড্র করেছে, সেটা ২০১৫ সালে বৃষ্টিভাগ্যে। এবার সফরে বাংলাদেশ ভালো করবে বলেই প্রত্যাশা আশরাফুলের।  

 

সর্বশেষ খবর