বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পচেফস্ট্রুম টেস্ট শুরু কাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পচেফস্ট্রুম টেস্ট শুরু কাল

দীর্ঘ আট বছর পর আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। আট বছর আগে প্রোটিয়াদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি টাইগাররা। বাংলাদেশের বোলাররা যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কোনো টেস্টে দুই ইনিংস ব্যাট করাতে পারেননি, তেমনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন প্রোটিয়া পেসারদের সামনে অসহায়। তবে এই আট বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ দল। টাইগাররা এখন জিততে শিখেছে। আঘাত সহ্য করে প্রতিপক্ষকে পাল্টা আঘাত করতে পারে টাইগাররা। সব শেষ দুই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ড্র-ই বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের সামর্থ্য।

বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সব শেষ দুই সিরিজে দুটি জয় পেয়েছে। সেটাও কিনা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। শ্রীলঙ্কায় গিয়েও জিতেছেন মুশফিকরা। তবে এবার খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বলেই একটুখানি সংশয়! মুশফিকরা পারবেন কি তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে?

তবে প্রস্তুতি ম্যাচে ভিন্ন কিছু করে দেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছেন। পেসাররাও কিছু ঝলক দেখিয়েছেন। এক সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়ার সঙ্গেও নিজেদেরকে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছেন মুশফিকরা।

প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছেন সাব্বির রহমান ও ইমরুল কায়েসের মতো ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা ব্যাটসম্যানরা। সাব্বির দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি, ইমরুল এক ইনিংসে। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক ও মুমিনুলও। প্রস্তুতি ম্যাচ দেখেই টেস্টে ভালো কিছু করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা এক সপ্তাহ আগে এসেছি। কন্ডিশন দেখেনি। সব মিলে প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচ দেখে সবার মনে হয়েছে টেস্টে ভালো হবে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে সব চেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হয় ব্যাটসম্যানদের। বাউন্স বল খেলা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।  কিন্তু কন্ডিশন যত কঠিনই হোক ইমরুলকে রান করতেই হবে! কেন না এই সিরিজটা হচ্ছে তার জন্য শেষ পরীক্ষা! খারাপ করলেই নিশ্চিত বাদ পড়ে যাবেন দল থেকে। কেন না দলে নেওয়ার সময়ই নির্বাচকরা বলেছেন, শেষ সুযোগ দিতেই দলে নেওয়া হয়েছে ইমরুলকে।

আট বছর আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ইমরুলের। এবার সেই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই দলে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেওয়ার জন্য লড়াই করবেন তিনি। কঠোর অনুশীলনও করছেন। বড় ইনিংস খেলার জন্য যেন মুখিয়ে রয়েছেন ইমরুল, ‘যেখানেই রান করি না কেন, রান করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সেটা বাংলাদেশে হোক বা এখানে হোক। রান করলে নিজের কাছে ভালো লাগে।’

প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। যদিও দুজনই টেস্ট খেলতে পারবেন বলে জানিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্স বল যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলতে পারে, প্রাকটিসের সময় খুব ভালো করেই তা অনুধাবন করতে পারছেন ব্যাটসম্যানরা।

তবে ইমরুল মনে করেন, প্রাকটিসে যাই-ই মনে হোক না কেন, ম্যাচে চিত্র ভিন্ন রকম থাকবে। তিনি বলেন, ‘প্রাকটিস করা আর ম্যাচে খেলা আলাদা। দুইটা দুই জিনিস। নেটে অনেক সময় ভয় কাজ করে। কিন্তু ম্যাচে সে ভীতি থাকে না। প্রাকটিসে বোলারদের ভয় কাজ করে, ম্যাচেও ভয়ে থাকে তারা। তা ছাড়া প্রাকটিসের উইকেট ও ম্যাচের উইকেট আলাদা থাকে।’ ইমরুল খুব দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছেন, ‘এখানে বাউন্স থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।’ তবে কথার সঙ্গে কাজের কতটা মিল তা বোঝা যাবে আগামীকালই। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্টটা যে শুরু হচ্ছে কালই।

সর্বশেষ খবর