পচেফস্ট্রুমে ড্রয়ের জন্য লড়াই করছে বাংলাদেশ। তখন অনেক আড়ালে ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেটের তৃতীয় রাউন্ডের খেলাগুলো চলছে দেশের চারটি ভেন্যুতে। তবে বৃষ্টি বাধায় বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের দ্বিতীয় দিনও বৃষ্টিতে ভেসে গেছে চট্টগ্রাম-সিলেট ম্যাচ। একই অবস্থা রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে রংপুর-বরিশাল ম্যাচের। প্রথম ও দ্বিতীয়দিন একটি বলও গড়ায়নি। প্রথম দিন বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেও দ্বিতীয় দিন নির্বিঘ্নে খেলা হয়েছে ঢাকা-খুলনা এবং রাজশাহী-ঢাকা মহানগরী ম্যাচ। এর মধ্যে খুলনার বিপক্ষে রানের পাহাড়ে চড়ে বসেছে ঢাকা। দলটির পক্ষে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাদিফ চৌধুরী। ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। রাজশাহী-ঢাকা মহানগরীর ম্যাচটিতে জয়-পরাজয় হতে পারে। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা-খুলনা ম্যাচের প্রথম দিন খেলা হয়েছিল মাত্র ৩৯ ওভার। তখন বিপদেই ছিল ঢাকা। গতকাল বৃষ্টির হানা না থাকায় নির্বিঘ্নে ব্যাটিং করে ১৪০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে নেয় ঢাকা। ৭১ রানে প্রথম ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি বাধেন শুভাগত হোম ও তাইবুর রহমান পারভেজ। দুজনে যোগ করেন ১১০ রান। শুভাগত দলীয় ১৮১ রানে সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। তাইবুর পারভেজ ফিরেন দলীয় ২৫০ রানে। এরপর সপ্তম উইকেটে জুটি বাঁধেন নাদিফ ও মোশাররফ রুবেল। ২২৭ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে নাদিফ খেলেন ১৬৬ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। ২৩৯ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৭টি বাউন্ডারি। মোশাররফ রুবেল অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে। খুলনার পক্ষে ৩ উইকেট নেন মেহেদি হাসান ১০৩ রানের খরচে। খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হয় রাজশাহী-ঢাকা মহানগরী ম্যাচ। রাজশাহী দুদিন ধরে ব্যাটিং করলেও তাদের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৭৭.১ ওভার। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জুনায়েদ সিদ্দিকী ৮৫ রানে ভর করে রাজশাহীর সংগ্রহ ২২০ রান। ওপেনার মিজানুর করেন ৫৬ রান। মহানগরীর পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন শরীফুল্লাহ ও ডলার মাহমুদ। জবাবে খেলতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরে ২ উইকেটে ১০ রান তুলে দিন পার করে ঢাকা মহানগরী।