বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

থেমে থেমে লিগ আর কত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

থেমে থেমে লিগ আর কত

সামনেই মাঠে নামতে হবে কৃষ্ণাদের। তাই অনুশীলনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলাররা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

এক সময় ঢাকা প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে বড় কোনো খেলা মানেই যেন দেশ কাঁপতো। এখন পেশাদার লিগ ঘিরে কেন এত শূন্যতা। ১০ বছর ধরে প্রাণহীন লিগ। রাতে টিভিতে ইউরোপিয়ান লিগের ছন্দময় খেলা দেখার পর দর্শকদের আর কি মন চায় পেশাদার লিগে গ্যালারিতে আসতে। এতটা করুণ অবস্থা যে এখন আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে টিকিট ফ্রি করে দিলেও হাজার তিনেক দর্শক মিলবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। তিন বছরের মাথায় এই পেশাদার লিগ দেশের ফুটবলে চেহারা পাল্টে দেবে জোর গলায় বলেছিলেন বাফুফের সাবেক সভাপতি এসএ সুলতান। তিনি যাওয়ার পর ফুটবলের নির্বাচিত সভাপতি হলেন কাজী সালাউদ্দিন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার। তার মতো জনপ্রিয় ফুটবলার আর কখনো সৃষ্টি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ক্রীড়ামোদীরা আশায় ছিলেন সালাউদ্দিনের নেতৃত্বেই দেশের ফুটবলের চেহারা পাল্টে যাবে। তিন মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সালাউদ্দিন প্রমাণ দিয়েছেন তার জনপ্রিয়তা। কিন্তু তিনি ফুটবলকে কি দিতে পেরেছেন? দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউরোপিয়ান দলের উদাহরণ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন একটু সময় দেন পেশাদার লিগে নতুনত্ব আসবে। ১০ বছর হতে চললো কই লিগেতো নতুনত্বের স্পর্শও মেলেনি। যেভাবে শুরু হয়েছে। সেভাবে চলছে এই লিগ। নাম পেশাদার কিন্তু ঢাকা দলগুলোরই প্রাধান্য। পৃথিবীর আর কোনো পেশাদার লিগের কি নজির দেওয়া যাবে একটা জেলারই ৮/১০টি দল অংশ নিচ্ছে। ঢাকার দলগুলো প্রাধান্য পাবেই। কিন্তু ১০ বছরে বিভাগের দলগুলোর দেখা মিলবে না তা কি ভাবা যায়। শুরুতে অবশ্য চট্টগ্রাম আবাহনী, ফেনী সকারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মোহামেডান, খুলনা আবাহনী ও সিলেট বিয়ানীবাজার দল খেলেছে। এবার চট্টগ্রাম আবাহনী ছাড়া ঢাকার বাইরে কোনো দল নেই। পেশাদার লিগে প্রতিটি ক্লাবেরই ভেন্যু থাকে আলাদা। বাংলাদেশে যেন সবার ভেন্যু একটাই—ঢাকা। চট্টগ্রাম, ফেনী, সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জেও লিগ হয়েছিল। এবার শুধু চট্টগ্রাম নির্ধারিত থাকলে তাও হবে কিনা সংশয় রয়েছে। এরই নাম নতুনত্ব বা পরিবর্তন। একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে এবার লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে অন্য রকম। দর্শক নেই, তারপরও লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। পাঁচটি দলের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা। অথচ সেই গতি ম্লান হয়ে যাচ্ছে কথায় কথায় লিগ বন্ধ রাখায়। বৃষ্টিতে ম্যাচ বাতিল, এক স্টেডিয়ামের ওপর চাপ পড়লে তাই হবে। অনূর্ধ্ব-১৮ দল ভুটানে খেলতে গেছে। দলের অধিকাংশই খেলোয়াড় পেশাদার লিগে সাইড লাইনে বসে থাকে। এরপরও লিগ দীর্ঘসময়ে বিরতি রাখার যুক্তি ছিল কি? দলগুলোর ভিতর আলাদা একটা গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। অনেক দিন পর উপভোগ্য লিগের দেখা মিলছিল। কিন্তু এই লম্বা বিরতিই খেলোয়াড়দের স্পিরিট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনূর্ধ্ব-১৮ দলের জন্য দীর্ঘ বিরতি। আগামী মাসে দ্বিতীয় দফায় দলবদলের আবারও লিগ বন্ধ থাকবে। বার বার বিরতিতে লিগের সৌন্দর্য থাকে? এ নিয়ে বাফুফের কি কিছুই করার নেই?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর