৩২ বছর পর ফের এশিয়া কাপ হকির আসর বসছে বাংলাদেশে। আট জাতির এই টুর্নামেন্ট ঘিরে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে দেশের হকি অঙ্গনে। টুর্নামেন্ট ভালো করতে মরিয়া স্বাগতিক বাংলাদেশ। গতকাল দলের জার্সি উন্মোচিত হয়। সেখানে দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি বলেন আসরে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
১১ অক্টোবর মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বসছে এশিয়া কাপের দশম আসর। বাংলাদেশ খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। গ্রুপের বাকি তিন দল সাবেক দুই বিশ্ব ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তান এবং জাপান। ‘বি’ গ্রুপের চার দল দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, চীন ও জাপান। উদ্বোধনী দিনেই পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ দলগুলো শক্তিশালী এবং র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে। তারপরও দল নিয়ে আশাবাদী কোচ মাহাবুব হারুন, ‘আমরা প্রস্তুত। গত ২০ দিন আমরা ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি। দলকে অনুপ্রাণিত করতে চেষ্টা করেছি প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলার। আমাদের র্যাঙ্কিং অন্যদের চেয়ে নিচে। তাই চেষ্টা থাকবে আমাদের র্যাঙ্কিং সামনে নিয়ে যাওয়ার।’ ১৯৮৫ সালে যখন এশিয়া কাপে খেলেছিল বাংলাদেশ, তখন প্রতিপক্ষ হিসেবেও পেয়েছিল পাকিস্তান ও জাপানকে। পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে এবং ড্র করেছিল জাপানের সঙ্গে ২-২ গোলে। এখন গ্রুপের সবগুলো দেশই এগিয়ে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে খেলোয়াড়রা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বললেন কোচ, ‘গ্রুপের তিনটি দলই শক্তিশালী। আমি ছেলেদের বলেছি, তারা যেন শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন।’ অধিনায়ক জিমিরি কণ্ঠেও একই সুর। শেষ পর্যন্ত লড়াই এবং প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়াই এখন টার্গেট বলেন জিমি, ‘দীর্ঘদিন পর নিজেদের মাঠে বড় একটা টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি। এটা বলতে পারি, আমরা নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা দেখানোর জন্য আমরা তৈরি। যদি সেটা করতে না পারি, তাহলে বুঝবো আমাদের এতদিনকার প্রস্তুতি বৃথা।’