দুই বছর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাবাদার এক বিধ্বংসী রূপ দেখেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ খেলছিলেন এই প্রোটিয়া পেসার। ক্রিকেট দুনিয়ায় সম্পূর্ণ নতুন এই বোলারকে বুঝে উঠার আগেই ঘটে গেল নিদারুণ ঘটনা। চতুর্থ ওভারের শেষ তিন বলে তামিম (বোল্ড), লিটন দাস (ক্যাচ, বেহারদিন) ও মাহমুদুল্লাহকে (এলবিডব্লিউ) আউট করে হ্যাটট্রিক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন কাগিসো রাবাদা। সেই ইনিংসে মোট ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। রান খরচ করেছিলেন মাত্র ১৬টি! রাবাদা সেই থেকেই বাংলাদেশের জন্য বিধ্বংসী হয়ে আছেন।
দুই বছর আগে ওয়ানডেতে রাবাদার রুদ্র রূপ দেখেছিলেন মুশফিকরা। এবার দেখলেন টেস্টের রূপও। পচেফস্ট্রুমে প্রথম টেস্টে কিছুটা ধীর গতিরই ছিলেন তিনি। বলের গতিতে দুরন্ত থাকলেও উইকেট শিকারে কিছুটা ধীরগতির ছিলেন রাবাদা। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট শিকার করেছিলেন ৮৪ রান দিয়ে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন ৩৩ রান দিয়ে। সবমিলিয়ে প্রথম টেস্টে ৫ উইকেট। তবে বর্তমান ক্রিকেটে আগ্রাসী পেসার হিসেবে পরিচিত এই প্রোটিয়া বোলারকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেই দেখা গেল আসল রূপে। দক্ষিণ আফ্রিকার ছুড়ে দেওয়া ৫৭৩ রানের বিশাল পাহাড়ে চড়তে গিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস শেষ করে ১৪৭ রানে। রাবাদা মাত্র ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন ইমরুল, সৌম্য, লিটন, সাব্বির ও রুবেল হোসেনের উইকেট (৫টি)। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের রান তথৈবচ। ১৭২ রানেই অলআউট হয়ে যায় মুশফিকবাহিনী। ইনিংস ও ২৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় টাইগাররা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট শিকার করেন রাবাদা। এবার ৩০ রান খরচ করে তুলে নেন সৌম্য, মুমিনুল, মাহমুদুল্লাহ, তাইজুল ও রুবেল হোসেনের উইকেট।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট লড়াইয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মাখায়া এনটিনি। ২০০২-০৮ সালের মধ্যে তিনি ৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। শিকার করেছেন ৩৫টি উইকেট। এরপর আছেন ডেল স্টেইন। তিনি ৬ টেস্টে ২৮টি উইকেট শিকার করেছেন। তিন ও চারে আছেন যথাক্রমে মরনে মরকেল (৭ টেস্টে ১৯ উইকেট) এবং জ্যাক ক্যালিস (৬ টেস্টে ১৭ উইকেট)। এরপরই আছেন মাত্র ২ টেস্টে ১৫ উইকেট শিকারি কাগিসো রাবাদা। ২১ টেস্টের ক্যারিয়ারে তিনি মোট ৯২ উইকেট শিকার করেছেন। ৪০ ওয়ানডেতে শিকার করেছেন ৬৫ উইকেটে। দুই দলের মুখোমুখিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট শিকার করেছেন শাহাদাত হোসেন।