রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্যাচ মিসে ম্যাচ মিস

রাজশাহীর প্রথম জয়

আসিফ ইকবাল

ক্যাচ মিসে ম্যাচ মিস

রাজশাহীকে টার্গেট দিয়েছিল ১৩৫ রানের। তবুও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সহজ সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় হাতছাড়া হয়ে যায় ম্যাচ। —রোহেত রাজীব

একটি নয়, তিন তিনটি ক্যাচ মিস! ২০ ওভারের ম্যাচে তিন ক্যাচ মিসে জয়ের স্বপ্ন দেখা অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া হিমালয় ডিঙানোর নামান্তর! মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্স ও সিলেট সিক্সার্স ম্যাচে তাই হয়েছে। রংপুরের ফিল্ডাররা মিস করেছেন তিনটি ক্যাচ। একাই মুমিনুল হকের ক্যাচ মিস হয়েছে দুটি। তার খেসারতও গুনেছে বড় হারে। মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুরকে ৮ উইকেটের হার উপহার দিয়েছে মুশফিকুর রহিমের রাজশাহী কিংস। তিন ম্যাচে রংপুরের এটা টানা দ্বিতীয় হার এবং টানা দুই হারের ধাক্কা সামলে প্রথম জয় তুলে নিল রাজশাহী। বিপিএলের ঢাকা পর্ব মাঠে গড়িয়েছে গতকাল। প্রথম দিনেই মাঠে নেমেছে রংপুর রাইডার্স। বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় শিরোপা প্রত্যাশী দলটি সিলেট পর্ব শুরু করেছিল জয়ে। হারিয়েছিল রাজশাহীকে। পরের ম্যাচে হেরে যায় চিটাগং কিংসের কাছে। হারজিতের ট্যাগ গায়ে চাপিয়ে দলটি গতকাল যাত্রা শুরু করে ঢাকায়। এবারও প্রতিপক্ষ রাজশাহী। সিলেট পর্বে প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর পক্ষে খেলেননি ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। ঢাকা পর্বেও না খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল খেলেননি। চট্টগ্রাম পর্বে হয়তো দেখা মিলবে। কুয়াশাকে এড়াতে বিপিএল গভর্নিং বডি ১ ঘণ্টা এগিয়ে আনে ম্যাচ। দুপুর একটায় শুরু ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। আগের ম্যাচগুলোর মতো গতকালও ব্যর্থ হয়েছেন দুই ওপেনার জানাথন চার্লস ও অ্যাডাম লিথ।  দুই ওপেনারের ধাক্কা সামলাতে মোহাম্মদ মিথুন ও রবি বোপারা জুটি বাধেন তৃতীয় উইকেটে। দলীয় ৩৩ রানে ফিরে যান মিথুন(১৮)। এরপর দলের দায়িত্ব পুরোপুরি নিজ কাঁধে তুলে নেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বোপারা। আগের ম্যাচ দুটির ধারাবাহিকতা ধরে রেখে গতকাল আরও প্রত্যয়ী ব্যাটিং করেন। খেলেন ৫৪ রানের হার না মানা ইনিংস। শাহরিয়ার নাফিসকে নিয়ে চার নম্বর উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৯ রান। শাহরিয়ার ব্যক্তিগত ২৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর বোপারা নিঃসঙ্গ নাবিক হয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান বন্দরে। খেলেন ৫১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার ইনিংসেই ভর করে ২০ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৪। অথচ সিলেট ১৫৪ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল মাশরাফিবাহিনী।

১৩৫ রানের মামুলি টার্গেট। রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল ও লেন্ডল সিমন্স ১২২ রানের ভিত দেন ১৫.২ ওভারে। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে আসরে প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পদ্মা পাড়ের দলটি। কিন্তু দুই ওপেনারের ইনিংস নিঃচ্ছিদ্র ছিল না। মুমিনুল জীবন পেয়েছেন দুই দুবার। দলীয় ৯ রানে ডিপ স্কয়ার লেগে মাশরাফির বলে মুমিনুলের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন নাজমুল অপু। তখন মুমিনুল মাত্র ১ রানে ব্যাট করছিলেন। এরপর চার নম্বরের ওভারের শেষ বলে ফের জীবন পান মুমিনুল। মালিঙ্গার বলে পয়েন্টে মুমিনুলের ক্যাচ ছাড়েন আবারও অপু। মুমিনুল তখন ব্যাট করছিলেন ৪ রানে। দুই দুটি জীবন পাওয়া মুমিনুল শেষ পর্যন্ত ম্যাচসেরা হন ৪৪ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। ৫৩ রানের ইনিংস খেলা সিমন্সও জীবন পান ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। হারের জন্য ক্যাচ মিস ছাড়াও স্কোর বোর্ডে ১৫-২০ রান কম হয়েছে বলেও জানান রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, ‘শুরুতে একটি ক্যাচ নিতে পারলে ম্যাচে ফিরতে পারতাম। মুমিনুল পাওয়ার প্লেতে ভালো কিছু করতে চাইবে এবং তখনই তাকে ফিরিয়ে দিতে পারলে ভালো হতো। এছাড়া মনে হয়েছে স্কোর বোর্ডে ১৫-২০ রান কম হয়েছে।’

 

স্কোরকার্ড

রংপুর রাইডার্স : ১৩৪/৫ (২০ ওভার)। বোপারা ৫৪* (ফরহাদ ২/২০)

রাজশাহী কিংস : ১৩৮/২ (১৬.৪ ওভার)। মুমিনুল ৬৩, সিমন্স ৫৩

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর