আবারও তীরে এসে তরী ডুবতে বসেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর। গত মৌসুমে শীর্ষে থেকেও লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। এবারও সেই শঙ্কাটা পেয়ে বসেছে বন্দরনগরীর দলটির। শুরু থেকেই শীর্ষে থাকলেও তা থেকে সরে আসে আগের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরে। গতকাল ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে টানা দুই ম্যাচে মূল্যবান ৫ পয়েন্ট নষ্ট করল তারা। ফলে শেষ মুহূর্তে এসে শিরোপার সম্ভাবনাটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম আবাহনীর হতাশার দিনে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ঢাকা আবাহনী। গতকাল পিছিয়ে থেকেও ২-১ গোলে পরাজিত করেছে মুক্তিযোদ্ধাকে। ১৯ ম্যাচ শেষে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে এবার প্রথমবারের মতো এককভাবে শীর্ষে উঠে এলো অভিজাত পাড়ার দলটি।
ঢাকা আবাহনী মূল্যবান ৩ পয়েন্ট পেয়েছে কপালজোরে। কেননা আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামে মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে সমানতালে লড়ে। ১৭ মিনিটে তৌহিদের গোলে এগিয়েও যায় তারা। গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠলেও মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগের দৃঢ়তার কারণে জালে বল পাঠাতে পারছিল না আবাহনী। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী গোল শোধে ১০ জনই উপরে উঠে খেলে। মুক্তিযোদ্ধাও কাউন্টার আক্রমণ চালায়। কিন্তু বদলি হিসেবে নামা নাইজেরিয়ান এমেকা ডালিংটন আবাহনী শিবিরে স্বস্তি ফেরান। ৬৬ মিনিটে তিনি ব্যবধান ১-১ করেন।
শিরোপার সম্ভাবনা ভালোভাবে জাগিয়ে রাখতে আবাহনীর দরকার ৩ পয়েন্ট। জয় পেতে তারা ছিল মরিয়া। কাজে আসছিল না কিছু। সময় যত গরিয়ে যায় মনে হচ্ছিল পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়বে আবাহনী। কপাল আর কাকে বলে, ৯০ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা।
এই সুযোগ কি হাতছাড়া হয়? সানডে ঠিকই গোল করে দলকে উৎসবে ভাসান। কী অদ্ভুত এক নাটক দেখা গেল দুই ম্যাচে। এক আবাহনী ৯০ মিনিটে জয়ের দেখা পেয়েছে। আরেক আবাহনীর কপাল পুড়েছে ৯০ মিনিটেই। ২৮ মিনিটে তৌহিদুল আলম সবুজের গোলে চট্টগ্রাম আবাহনী এগিয়ে যায়। নিশ্চিত জয়ের পথে হাঁটছিল তারা। কিন্তু ৯০ মিনিটে ব্রাদার্সের জুনাপিও গোল করলে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ১৭ ম্যাচ পর্যন্ত শীর্ষে থাকা দলটিকে। সামনে তাদের সাইফ স্পোর্টিং, শেখ জামাল ও ঢাকা আবাহনীর মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে লড়তে হবে। শিরোপার রেসে টিকে থাকতে হলে এখন তিন ম্যাচে জয় ছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনীর বিকল্প কোনো পথ নেই। যে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছে তাতে টানা তিন ম্যাচ জেতাটা কঠিনই বলা যায়। এখন যে অবস্থা তাতে ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামালের শিরোপা জয়ে সম্ভাবনা বেশি। ঢাকা আবাহনী পাঁচ ও শেখ জামালের তিনবার লিগ জেতার রেকর্ড রয়েছে।