সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম আবাহনীর কেন এ পরিণতি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম আবাহনীর কেন এ পরিণতি

তরফদার মো. রুহুল আমিন

শেষ হয়ে গেল পেশাদার ফুটবল লিগ। সর্বোচ্চ ৫২ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা আবাহনী। অথচ প্রথম পর্বে দলটি ছিল বেশ পিছিয়ে। লিগের শুরু থেকেই শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম পর্বে শেষ ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরে গেলেও তাদের অবস্থান ছিল মজবুত। ঢাকা আবাহনীর চেয়ে ৭ ও শেখ জামালের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে থাকে বন্দর নগরীর দলটি। ১৭ ম্যাচ পর্যন্ত শীর্ষেই ছিল তারা।

যেভাবে এগুচ্ছিল তাতে মনে হচ্ছিল লিগে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলবে। ১৮তম ম্যাচে ছন্দ পতন ঘটল চট্টগ্রাম আবাহনীর। মুক্তিযোদ্ধার কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে শীর্ষস্থান থেকে সরে আছে তারা। এতটা বিপর্যয় যে পরবর্তীতে আর কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ড্র, শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা রেস থেকে দূরে সরে যায় তারা। তারপর সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে হার ও শেষ ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে ড্র করে। অর্থাৎ শেষ পাঁচ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ১৩ পয়েন্ট নষ্ট করে রানার্সআপও হতে পারেনি।

যে দল চ্যাম্পিয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল তাদের এমন করুণ পরিণতি হলো কেন? একটা দল যখন খারাপ খেলে তখন প্রথম সন্দেহটা করা হয় কোচ ও খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলা রয়েছে কিনা। সেদিক দিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী ছিল ক্লিন। বিগ বাজেটে শক্তিশালী দল গড়েছে। সবারই পেমেন্ট ঠিকমতো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিদেশি ফুটবলাররাও অভিযোগ তুলতে পারেনি। কোচ সাইফুল বারী টিটুও দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

সব কিছু ঠিক থাকার পরও চট্টগ্রাম আবাহনীর এমন পরিণতি ঘটল কেন? এর পেছনে কি কোনো রহস্য রয়েছে? তা জানতেই আলাপ করা হলো ক্লাব ডাইরেক্টর ও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ব্যর্থতার কারণ একটাই ছেলেরা শেষের দিকে এসে খেলতে পারেনি। কোচ টিটুও দলকে সেভাবে পরিচালিত করতে পারছিল না। এখানেই মূল সর্বনাশটা হয়ে গেছে। তাই আমরা বাধ্য হয়েছি কোচকে বরখাস্ত করতে। তরফদার বলেন, আমরা যার যার চাহিদা মতো পারিশ্রমিক দিয়েছি। শুরু থেকে শীর্ষে থাকার পর শেষের দিকে এসে এমন ফল মানা যায় না।

তাহলে কি কোনো খেলোয়াড় শৃঙ্খলা ভেঙেছে? তরফদার বলেন, এসব নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। পুরো দলই তো ফ্লপ ছিল। যা হওয়ার হয়ে গেছে। তাতো আর ফিরে পাবো না। চ্যাম্পিয়নের জন্য সবকিছুই আমরা করেছি। আফসোসটা থেকেই গেল।

এবার লিগে পাতানো ম্যাচ হয়েছে কি? তরফদার কিছুটা হেসেই বললেন, যদি হয়েও থাকে ক্ষতিতো নেই। সুতরাং এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। তবে এতটুকু বলব কষ্ট পেলেও সামনের মৌসুমে আমরা দল গঠনে নতুনত্ব আনতে চাই। তরুণ ও উঠতি খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দেব। তারকা খেলোয়াড় নিয়ে অযথা অর্থ অপচয় করব না।

 

 

সর্বশেষ খবর