সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঘরের মাঠে কতটা প্রস্তুত সাইফ

প্রতিপক্ষ শক্তিশালী টিসি স্পোর্টস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঘরের মাঠে কতটা প্রস্তুত সাইফ

আগে হতো এশিয়ান ক্লাব কাপ ফুটবল। এখন এএফসি কাপ। নিয়ম অনুযায়ী এশিয়ান ঘরোয়া ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপরা অংশ নিয়ে থাকে। এবার বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ঢাকা আবাহনী সরাসরি গ্রুপ পর্ব খেললেও প্রাক বাছাইপর্বে খেলবে পেশাদার লিগে চতুর্থ স্থানে থাকা সাইফ স্পোর্টিং। এএফসি এবার নিয়ম করে দিয়েছিল যারা খেলতে ইচ্ছুক তাদের চিঠি দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ঢাকা আবাহনী, ঢাকা মোহামেডান ও সাইফ স্পোর্টিং আবেদন করে। পজিশন অনুযায়ী মোহামেডানকে পেছনে ফেলে দিয়ে সাইফ প্রথমবারের মতো এএফসি কাপে খেলছে। আবাহনীর খেলা মার্চে। সাইফকে নামতে হচ্ছে আগামীকালই। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টায় তাদের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ রানার্সআপ টিসি স্পোর্টস। ৩০ জানুয়ারি মালদ্বীপের রাজধানী মালোতে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে সাইফ। এএফসি কাপ মানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। সেক্ষেত্রে সাইফ দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারবে কি?

সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়র নাসির হোসেন চৌধুরী জানান, দলের শক্তি বাড়াতে বেশ কজন অতিথি খেলোয়াড় রয়েছে। এরা হলেন, চট্টগ্রাম আবাহনীর মাসুক মিঞা জনি, জাহিদ হোসেন, আবদুল্লাহ সোহেল রানা, তৌহিদুল ইসলাম সবুজ। ঢাকা মোহামেডানের নাইজেরিয়ার কিংসলেকেও নেওয়া হয়েছে। টুর্নমেন্টে চারজন করে বিদেশি ফুটবলার খেলার অনুমতি পাবে। সেক্ষেত্রে সাইফকে শক্তিশালী দলই বলা যায়। এরপরও ঘরের মাঠে মালদ্বীপের দলটির বিপক্ষে কতটুকু সুবিধা করতে পারবে? এক সময় এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে মোহামেডান ও আবাহনীর সামনে দাঁড়াতেই পারত না মালদ্বীপের দলগুলো। মোহামেডানের বিপক্ষে একবার ম্যাচের আগে মালদ্বীপ রেডিয়ান্ট ক্লাব অনুরোধ রাখে কম গোল দেওয়ার। সেই মালদ্বীপ এখন কত এগিয়ে গেছে। জাতীয় দল জিততেই পারছে না। টিসি স্পোর্টসও দারুণ শক্তিশালী দল। গত বছর চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন তারা। জাতীয় দলের বেশ কজন খেলোয়াড় রয়েছে টিসি ক্লাবে। সাইফ এমন এক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে কি করবে? পেশাদার লিগে নতুন দল হিসেবে ভালোই খেলছিল তারা। শিরোপা রেসেও টিকে ছিল। দ্বিতীয় পর্ব এসে ছন্দ হারিয়ে ফেলে। চারে থেকেই লিগ শেষ করে। চলতি স্বাধীনতা কাপেও তাদের পারফরম্যান্স চোখে পড়ছে না। ‘ডি’ গ্রুপে চট্টগ্রাম আবাহনী ও আরামবাগের বিপক্ষে ড্র করেছে। কোয়ার্টার ফাইনাল এখনো তাদের অনিশ্চিত। এই দল যদি টিসিকে হারাতে পারে তা হবে নিঃসন্দেহে গর্বের। নাসিরও বলেছেন, লক্ষ্য আমাদের একটাই ঘরের মাঠে জিতে মালদ্বীপে যেতে চাই। তা সম্ভব কি না সেটাই দেখার বিষয়।

সর্বশেষ খবর