সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

তবু আফসোস লিটনের

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের নান্দনিক ব্যাটিং। দ্বিতীয় ইনিংসে সময়োপযোগী ১০৫ রান। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। অসাধারণ, চোখ ধাঁধানো ও সময়োপযোগী ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম টেস্টের ‘মহানায়ক’ মুমিনুল হক। মুমিনুল যদি হন মহানায়ক, তাহলে নিশ্চিত করেই ‘নায়ক’ লিটন দাস! দুর্ভাগ্য সঙ্গী না হলেও ছোটখাটো গড়নের লিটনের নামের পাশেও লেখা থাকতো তিন অংকের জাদুকরি একটি ইনিংস। কিন্তু উচ্চাভিলাষী শট খেলে তুলে নিতে পারেননি ৭ টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি। সেঞ্চুরি পাননি। কিন্তু নিজের জাত চিনিয়েছেন। প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে দলের প্রয়োজনে খেলেছেন ৯৪ রানের ম্যাচ বাঁচানো এক ইনিংস। এই ইনিংসই ‘মহানায়ক’ মুমিনুলের পাশে ‘পার্শ্ব নায়ক’ বানিয়েছে।

প্রথম ইনিংসে সুরঙ্গা লাকমলের বলের সুইং না বুঝে ছেড়ে দিয়েছিলেন লিটন। সমালোচকরা তখন সমালোচনার ধারালো তরবারিতে এফোঁড়-ওফোঁড় করে ছাড়েন প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরা লিটনকে। মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখার মতো সেই সমালোচকরাই লিটনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন গতকাল। প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রান করেও হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ২০০ রানে পিছিয়ে পড়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে ৮১ রান তুলতে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। পঞ্চম দিনে বল ঘুরবে লাটিমের মতো! এই আশঙ্কায় সবাই যখন ধরে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের হার শুধু সময়ের অপেক্ষা। দলের এমন ক্রান্তিকালে মুমিনুল ব্যাটিং করেন হিমালয়সম দৃঢ়তায়। লিটন তার পার্শ্বচরিত্র হিসেবে খেললেন আন্দিজ পর্বতের দৃঢ়তায় ক্যারিয়ার সেরা ৯৪ রানের ইনিংস। ৮১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর মুমিনুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে চার নম্বর উইকেটে স্কোর বোর্ডে লিটন যোগ করেন ১৮০ রান। এই জুটিই ম্যাচ বাঁচিয়েছে। এই জুটিই ইতিহাস লিখেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর