শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা ডায়াপ্যান্ট কিডস রান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বসুন্ধরা ডায়াপ্যান্ট কিডস রান

বসুন্ধরা ডায়াপ্যান্ট কিডস রানে অংশগ্রহণকারী শিশুরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘কিডস রান-২০১৮’। গতকাল সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মাদানি এভিনিউয়ে এই ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা ডায়াপ্যান্টের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রানের ব্যবস্থাপনায় এই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রান দীর্ঘদিন ধরেই সুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। এই সংগঠন দেশজুড়ে শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করে থাকে। সংগঠনটি দেশের ৬৪টি জেলায় ১০ কিলোমিটার রানিং ইভেন্ট আয়োজন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সবার মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। এরই অংশ হিসেবে কিডস রান আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া এই সংগঠনটি গ্লোবাল রানিং ডে, ডায়াবেটিস ডে এবং চ্যারিটি রান ডে আয়োজন করে থাকে।

গতকালের আয়োজনে অংশ নিয়েছিল ১২ বছরের কম বয়সী শিশুরা। তিনটি ক্যাটাগরিতে শিশুরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ক্যাটাগরিতে ৯-১২ বছরের শিশু, বি ক্যাটাগরিতে ৫-৮ বছরের শিশু এবং সি ক্যাটাগরিতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা অংশ নেয়। প্রথম দুটি ক্যাটাগরির শিশুরা ২ কিলোমিটার রেসে অংশ নেয়। সি ক্যাটাগরির শিশুরা ১০০ মিটার ‘রান ফানে’ অংশ নেয়। বসুন্ধরা ডায়াপ্যান্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মুরশেদুল বারি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গতকালের কিডস রান প্রতিযোগিতায় বিপুলসংখ্যক শিশু অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রতিটি শিশুই বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে। চ্যাম্পিয়ন সৈয়দ ফাজ ইমতিয়াজ মিডিয়াকে বলেছে, ‘আমি ইভেন্টটা দারুণ উপভোগ করেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম, আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পারব না। এখন আমি প্রথম স্থান অর্জন করে দারুণ খুশি। এমন প্রতিযোগিতায় আমি প্রতি বছরই অংশগ্রহণ করতে চাই।’ এক প্রতিযোগী শিশুর অভিভাবক সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘আমি আয়োজকদের বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই। এমন আয়োজন কেবল শিশুদেরই নয়, অভিভাবকদেরও উৎসাহিত করেছে। শহরে আমাদের বাচ্চারা খেলার মাঠের অভাবে ক্রীড়াবান্ধব পরিবেশ পায় না। এই ধরনের আয়োজন বাচ্চাদের খুবই অনুপ্রাণিত করবে।’

সর্বশেষ খবর