বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

যত পরিকল্পনা সাফ ঘিরে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

যত পরিকল্পনা সাফ ঘিরে

সংবাদ সম্মেলনে হেড কোচ অ্যান্ডু ওর্ড

সময় রদবদল না হলে সেপ্টেম্বরেই ঢাকায় সাফ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবলের মান এতটা নিচে নেমে গেছে যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল খেলাটাই স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গত তিন আসরে গ্রুপ পর্ব খেলেই জাতীয় দল বিদায় নিয়েছে। এবার ঘরের মাঠে ব্যর্থতা ঝেড়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে। বাফুফেও বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে। এখনই অনুশীলনে নেমে গেছে। কোচ অ্যান্ডু ওড একটাই কথা বলেছেন, হুট করে অনুশীলনে নামলে চলবে না। অনেক ঝালাই করে চূড়ান্ত দল গঠন করতে হবে। মান যাচাই করতে বাফুফে কাতার, থাইল্যান্ড ও লাওসে অনুশীলনের পাশাপাশি প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা করেছে। এটা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। জাতীয় দল এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে না। ভুটানের কাছে হারের পর ফুটবলাররা লোকাল আসর নিয়ে ব্যস্ত।

বিকেএসপিতে দুই সপ্তাহ অনুশীলন শেষে আজ কাতার যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। দোহারে আরও দুই সপ্তাহ অনুশীলন চলবে। ২৭ মার্চ লাওসের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর যাবে থাইল্যান্ডে। ফুটবলে প্রশিক্ষণে নতুনত্ব থাকছে। কোচ অ্যান্ডু এতে করে উপকৃত হবেন। তার শিবিরে কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ডাক পেলেও অ্যান্ডুর দৃষ্টি মূলত তরুণদের দিকে। কেননা তারকার বদলে তরুণরাই এখন মাঠ মাতাচ্ছেন। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮, এএফসি কাপ বাছাই পর্বে তার প্রমাণ মিলেছে।

স্বাধীনতা কাপে ফেবারিটদের পেছনে ফেলে আরামবাগ অখ্যাত তরুণদের নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এতে করে তরুণদের ডিমান্ড আরও বেড়ে গেছে। কোচ তরুণদের নিয়ে আশাবাদী। সেপ্টেম্বর আসতে এখনো বেশ দেরি। তাই ওড দলকে ভালোভাবে সু-সংগঠিত করবে বলে আশা করা যায়।

তবে একটা বিষয় চোখে পড়েছে। সোমবার প্রস্তুতি ম্যাচে প্রশিক্ষণরত জতীয় দল ৪-০ গোলে হেরে যায় আবাহনীর কাছে। যদিও ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু দুটো পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেননি ওডের শিষ্যরা।

প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও মাঠে সম্ভাব্য জাতীয় দলকে বেশ অসহায় মনে হয়েছে। বিশেষ করে আবাহনীর দুই বিদেশি সানডে ও এমেকা ডার্লিংটনকে রুখতে হিমশিম খেয়ে যায়। এমন বিপর্যয়ের পর কেউ কেউ অ্যান্ডুর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন হতে পারে আবাহনী পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়ন। এরাতো স্বাধীনতা কাপে আরামবাগের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেই আবাহনীর কাছে নাকানি-চোবানি খাওয়ানোটা ভালো আলামত নয়।’

কাতার যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্ডু অবশ্য বলেছেন, এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আবাহনী শক্তিশালী দল। সবচেয়ে বড় কথা খেলোয়াড়দের আমি ভালোভাবে পরখ করতে পেরেছি। ধীরে ধীরে আমি খেলোয়াড়দের পরিশ্রমের মাত্রা বাড়িয়ে দেব। এতে হয়তো কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সরেও যাবেন। ৩৫ জন নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন ওড। কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন ২৪ জন। প্রশ্ন ছিল বাকি ১১ জন কি লাওস ম্যাচে সুযোগ পাবেন কিনা। ওড বলেন, দরজা সবার জন্য খোলা থাকবে। সবারই সুযোগ থাকছে। আবাহনী থেকে ফুটবলার ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর রদবদল হতে পারে।

কাতার ও থাইল্যান্ডে অনুশীলনের পাশাপাশি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পুরোপুরি পাল্টে গেছে ফুটবলে প্রশিক্ষণের চিত্র। হেড কোচ ছাড়াও গোলরক্ষক কোচ ও ফিজিও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে সাফে জ্বলে ওঠার সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, আমরা এবার কোনো কিছুর ঘাটতি রাখছি না। আশা করি পজিটিভ কিছু পাব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর