শিরোনাম
সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

অবশেষে ওমান যাচ্ছেন জিমিরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবশেষে ওমান যাচ্ছেন জিমিরা

জিওর জটিলতা কেটে গেছে হকি দলের। সরকারি অনুমতি পাওয়ায় এশিয়ান গেমস বাছাইপর্ব খেলতে আগামীকাল সন্ধ্যায় রাসেল মাহমুদ জিমিরা ওমানের উদ্দেশে রওনা হবেন। এবার হকির জিওকে কেন্দ্র করে আজব কিছু ঘটনা ঘটে। ১২ ফেব্রুয়ারি তালিকা তৈরি করে জিওর জন্য হকি ফেডারেশন চিঠি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি এই চিঠি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েও দেওয়া হয়।

যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের হাতে গেলে তিনি নাকি লম্বা তালিকা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিশেষ করে স্ট্যান্ডবাই চার খেলোয়াড়ের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে অবশ্য হকি ফেডারেশন চারজনের নাম বাদ দিয়ে দেয়। উপমন্ত্রী জিও কপি চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফেডারেশন টিকিটও কেটে রাখে। কেননা জাতীয় দলের জিওটা সময়ের ব্যাপার, এটা স্বাভাবিক কারণেই ধরে নিয়েছিল। সদস্য সংখ্যা নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে কিন্তু যেকোনো জাতীয় দলের জিও আটকিয়ে দিয়েছে এ ধরনের নজির নেই।

জিও মিলতে দেরি হচ্ছে কেন তা জানতে গিয়েই হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের ওপর যেন বাজ ভেঙে পড়ে। জানতে পারে উপমন্ত্রী পাঠালেও জিও কপি প্রতিমন্ত্রীর হাতে যায়নি। মন্ত্রণালয়ে নাকি ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ ফাইল উধাও। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে জিও যে মিলবে এ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ জাতীয় দল বাছাইপর্বে এন্ট্রি করে না খেললে সমস্যায় পড়ে যাবে। যেখানে দেশ ও সরকারের ইমেজ জড়িত সেখানে যতই নাটক হোক না কেন হকি দল যে ওমান যাওয়ার অনুমতি পাবে এ নিয়ে কারোর সংশয় ছিল না।

শনিবার রাতে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক জানান আশা রাখি জিও পেয়ে যাব। এশিয়ান গেমস বাছাইপর্ব খেলতে নির্ধারিত সময়ে হকি দল ওমান যাবে শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে, উধাও কাহিনীও শেষ হয়েছে। হকি দলের জিও মিলে গেছে। এখন শুধু ওমান যাওয়ায় অপেক্ষায়। সেপ্টেম্বর জাকার্তায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ বাছাইপর্বে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে। ১০ মার্চ থাইল্যান্ড, ১২ মার্চ হংকং ও ১৩ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে লড়বে।

বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ পাঁচ দল এশিয়ান গেমসে খেলার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের এশিয়ান গেমস খেলাটা নিশ্চিতই বলা যায়। তবে কোচ মাহবুব হারুন বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন হয়েই এশিয়ান গেমসে নামতে চাই। এবার দলের প্রশিক্ষণ হয়েছে জোরালভাবে। হারুন শিষ্যদের প্রশিক্ষণে সন্তুষ্ট।

১৮ জন খেলোয়াড়সহ ২৩ জন ওমানে যাবে। ১ জন কোচ, ১ জন সহকারী কোচ, ২ জন ম্যানেজার। দলনেতা হিসেবে যাচ্ছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোমিনুল হক সাইদ।

সর্বশেষ খবর