বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

এক বছর নিষিদ্ধ স্মিথ-ওয়ার্নার

ক্রীড়া ডেস্ক

এক বছর নিষিদ্ধ স্মিথ-ওয়ার্নার

কড়া নিরাপত্তায় জোহানেসবার্গ ছাড়ছেন স্মিথ —এএফপি

জোহানেসবার্গ থেকে সিডনিগামী প্লেনে যখন উড়ে বসেন স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রাফটরা, তখন গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে, নিষিদ্ধ হচ্ছেন তিন ক্রিকেটার। কিন্তু কতদিনের জন্য নিষিদ্ধ হবেন, সেটা পরিষ্কার ছিল না। শেষ পর্যন্ত নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সব ধরনের ক্রিকেটে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ব্যানক্রাফটকে। গতকাল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী টিম সাদারল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে আইসিসি এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল স্মিথকে এবং ব্যানক্রাফটকে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করে। 

কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন চা বিরতির সময় বল টেম্পারিং করেন ব্যানক্রাফট। সেটা টেলিভিশনে ধরা পড়ে। এরপর তোলপার শুরু হয় ক্রিকেট বিশ্বে। চতুর্থদিন আনুষ্ঠানিকভাবে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। তার সঙ্গী হয় সহকারী ওয়ার্নারও। তার আগেই অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল স্মিথকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়ে। যদিও শুরুতে স্মিথ দায়িত্ব ছাড়বেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। টেস্টের মাঝপথেই সরে দাঁড়ান।

টেস্টে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির সময় অধিনায়ক স্মিথ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে বল টেম্পারিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মাত্র ৮ টেস্ট খেলা ব্যানক্রাফটকে। তিনি চা বিরতির সময় একটি হলুদ টেপ দিয়ে বল টেম্পারিং করার সময় ধরা পড়েন। টেলিভিশনে দেখার পর ম্যাচ রেফারি জানান মাঠের দুই আম্পায়ারকে। তারা বিষয়টি নিয়ে তাত্ক্ষণিক কথা বলেন স্মিথের সঙ্গে। টিভি রিপ্লেতে দেখার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় বিশ্বব্যাপী। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডও বিষয়টি সিরিয়াসলি নেয় এবং অ্যাকশন নেয় দ্রুত। সিইও জেমস সাদারল্যান্ড জানিয়েছেন, ‘২.৫.৬ ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা হয়েছে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারকে।’ স্মিথ ও ওয়ার্নার শুধু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটেই নিষিদ্ধ হননি। তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে আসন্ন আইপিএল থেকে।

বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে এত বড় নিষেধাজ্ঞা এর আগে কখনো হয়নি। এর আগে ফাপ ডু প্লেসি, মাইকেল আথারটনকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয়নি কখনো। অবশ্য ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। নিষিদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ায় আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার কলিন ক্রফট, ফুয়াদ বাক্কাসরা। শুধু তাই নয়, নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচও।

সর্বশেষ খবর