শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

টানা তৃতীয় জয় শেখ জামালের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টানা তৃতীয় জয় শেখ জামালের

প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগে টানা তৃতীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমেই আলো ছড়ান উন্মুক্ত চাঁদ। বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক প্রিমিয়ার ক্রিকেট খেলতে নেমে প্রথম দুই ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সব ফোকাস টেনে নেন নিজের দিকে। তার সেঞ্চুরিতে উপুর্যপুরী জয় তুলে শিরোপার দিকে হাঁটতে শুরু করে শেখ জামাল। গতকাল সুপার লিগের তৃতীয় ম্যাচেও জয় পায় শেখ জামাল। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস (ডিএল) মেথডে ৮ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপকে। দল জয় পেলেও ব্যর্থ হয়েছেন চাঁদ। সুপার লিগে শেখ জামালের এটা টানা তৃতীয় এবং সব মিলিয়ে ৯ জয়ে এখন পয়েন্ট ১৮। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। ২০ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আবাহনী। সুপার লিগের বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে আবাহনী ও লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। রেকর্ড রান করেও আবাহনী ডিএল মেথডে ২০ রানে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরকে এবং খেলাঘর সমাজকল্যাণকে ১২ রানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। 

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.৪ ওভারে ২৪৮ রান করে শেখ জামাল। আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উন্মুক্ত চাঁদ সাজঘরে ফিরেন মাত্র ১ রানে। তিনি রান না পেলেও দলকে টেনে নিয়ে যান  সৈকত আলী, তানভীর হায়দার ও  জিয়াউর রহমান। তিনজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন। ওপেনার  সৈকত ৫১ রান করেন ৪৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায়। তানভীর ৫০ রানের ইনিংসটি খেলেন একটু ধীরলয়ে ৭৬ বলে ৫ চারে। ম্যাচ সেরা জিয়াউর ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ৭৪ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায়। গাজীর সফল বোলার আবু হায়দার রনি ৪ উইকেট নেন ৫৭ রানের খরচে। ২৪৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৪৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৭ রান তোলে গাজী। তখনই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে খেলা হতে না পারায় বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয় পায় শেখ জামাল। গাজীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন জাকের আলী। ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন আসিফ। জামালের পক্ষে রবিউল নেন ৩ উইকেট।

বিকেএসপিতে রেকর্ড ভাঙার খেলায় ব্যস্ত ছিল আবাহনী। আগের রাউন্ডে দলটি হেরেছিল শেখ জামালের কাছে। সেই ধাক্কা সামলে নিতে মরিয়া আবাহনী গতকাল ঘরের মাটিতে যে কোনো লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়ে। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়ের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান করে আবাহনী। যে কোনো দলের বিপক্ষে এটা সর্বোচ্চ স্কোর। আগের রেকর্ডটিও আবাহনীর। ২০১৬ সালে মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৭১ রান করেছিল দলটি। তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরও আবাহনীর দখলে। গত বছর মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৬৬ রান তুলেছিল। গতকাল প্রথমে ব্যাট করে দুই ওপেনার শান্ত ও বিজয় দুজনে ২৩৬ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত দেন। বিজয় রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ১২৮ রানের ইনিংস। ১২৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। শান্ত ১২১ রান করেন ১১২ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায়। চলতি লিগে শান্তর এটা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দুই ওপেনারের গড়া ভিতকে কাজে লাগিয়ে শেষ দিকে দলীয় স্কোর পর্বত উচ্চতায় নিয়ে যান হনুমা বিহারি ও মোহাম্মদ মিথুন। বিহারি ৬৬ রান করেন মাত্র ৩৬ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায়। মিথুন ৪৭ রান করেন ২৪ বলে। ৩৯৪ রানের টার্গেটে বেশ ভালো খেলছিল প্রাইম দোলেশ্বর। ৩৩ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর জুটি বাঁধেন মার্শাল আইয়ুব ও ফজলে রাব্বি। দুজনেই সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারেননি। বৃষ্টি আইনে তাদের দল হেরে যায় ২০ রানে। মার্শালের ১০৮ ও ফজলের ১০০ রানের পরও বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় প্রাইম দোলেশ্বরের রান ছিল ৩৪.১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪৪। আবাহনীর স্কোর ছিল ৩৪.১ ওভারে ২৬৪। ফতুল্লায় প্রথমে ব্যাট করে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ ২১৬ রান করে ৫০ ওভারে। জবাবে খেলাঘরের ইনিংস থেমে যায় ২০৪ রানে।

সর্বশেষ খবর