শিরোনাম
শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

পারলেন না হারষিতরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পারলেন না হারষিতরা

বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সিনিয়র মেনস সেন্ট্রাল জোন ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে হেরে হতাশ বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা আগ্রহ নিয়ে তাকিয়েছিলেন মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের দিকে। সবাই অপেক্ষায় ছিলেন স্বপ্ন পূরণের। মাঠে থেকে ইতিহাসের সাক্ষী হতেও স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার ভলিবলপ্রেমী। শুধু আমজনতা নয়, স্বপ্ন পূরণের অংশীদার হতে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো সমর্থক অহর্ণিশ সমর্থন দিয়ে উৎসাহিত করেছেন হারষিত বিশ্বাস, রাশেদ খান মেনন, কায়সার হামিদদের। সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। তাই স্বপ্ন পূরণও হয়নি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সিনিয়র মেনস সেন্ট্রাল জোন ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স আপেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে হারষিতদের। প্রথম সেটে পিছিয়ে থেকেও শিরোপা জিতে নেয় তুর্কমেনিস্তান। চ্যাম্পিয়ন তুর্কমেনিস্তান এই প্রথম খেলল টুর্নামেন্টে এবং গতকাল ফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারাল ২৪-২৬, ২৫-২০, ২৫-২১ ও ২৫-১৭ পয়েন্টে। টুর্নামেন্টে তৃতীয় হয়েছে মধ্য এশিয়ার আরেক দেশ কিরগিজস্তান। দেশটি সরাসরি ২৫-২০, ২৫-২২ ও ২৫-২০ পয়েন্টে হারিয়েছে নেপালকে। পঞ্চম হয়েছে উজবেকিস্তান ও ষষ্ঠ মালদ্বীপ।  

নিজেদের ভলিবল ইতিহাসে বাংলাদেশ প্রথম শিরোপা জিতেছিল ২০১৬ সালে। কিরজিস্তানকে হারিয়ে লিখেছিল ইতিহাস। সেবার অবশ্য তুর্কমেনিস্তান অংশ নেয়নি। তারপরও কিরগিজস্তান ছিল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কিন্তু দুর্দান্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও বাংলাদেশ স্বাগতিক হয় টুর্নামেন্টটির। ছয় জাতির টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারায়। এরপর মালদ্বীপকে হারিয়ে জায়গা নেয় সেমিফাইনালে। সেমিতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ৩-২ সেটে হারায় কিরগিজস্তানকে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে গতকাল খেলতে নামে এবং প্রথম সেট জিতে নেয় ২৬-২৪ পয়েন্টে। প্রথম সেট জিতলেও পরের তিন সেটে তুর্কমেনিস্তানের পরিকল্পিত খেলার সঙ্গে পেরে ওঠেনি। মানসিক চাপের কাছে হেরে পরের তিন সেট হেরে যায় সহজেই। তুর্কমেনিস্তান দ্বিতীয় সেট ২৫-২০, তৃতীয়টি ২৫-২১ ও চতুর্থটি জিতে নেয় ২৫-১৭ পয়েন্টে। ৩-১ সেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় তুর্কমেনিস্তান।

হেরে যাওয়ায় হতাশ নন বাংলাদেশের কোচ আলী পৌর আরদি, ‘ছেলেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তুর্কমেনিস্তান শক্তিশালী দল। অল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে এত বড় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ নয়। বড় বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন করতে হবে।’ চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে কষ্ট পেয়েছেন অধিনায়ক হারষিত, ‘আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি ছিলাম শিরোপা জয়ের। কিন্তু তুর্কমেনিস্তান ভালো খেলেছে। আমরা লড়াই করেছি।’ টুর্নামেন্টের বেস্ট স্পাইকার বাংলাদেশের মাসুদ হোসেন, বেস্ট ব্লকার বাংলাদেশের সজিবুর রহমান, বেস্ট সেটার তুর্কমেনিস্তানের ইসকান্দেরভ, বেস্ট লিভারো তুর্কমেনিস্তানের আমান্দুদিয়েভ, মোস্ট ব্যালুয়েবল প্লেয়ার তুর্কমেনিস্তানের নুরিয়েভ দিদার।

ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি, আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপি, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, নাজমা আক্তার এমপি, সাবিনা আকতার তুহিন এমপি, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শেখ ফজলে ফাহিম, গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, মোহাম্মদ ইসমাইল, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, নীলা হোসনে আরা, ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকুসহ অন্যান কর্মকর্তারা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর