আত্মবিশ্বাসী রোমা ঘরের মাঠে রোম অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৩৪ বছর পর ফাইনাল খেলার স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে অলআউট খেলতে থাকে। টার্গেট অনুযায়ী জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। কিন্তু জয়টি ফাইনাল খেলার জন্য পুরোপুরি সহায়তা করতে পারেনি। দলটি জিতেছে ৪-২ গোলে। জিতলেও মাত্র এক গোলের ব্যবধানে ফাইনালে খেলার স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিতে হয় ইতালিয়ান জায়ান্টদের। প্রথম লেগে লিভারপুল জয় পায় ৫-২ গোলে। দ্বিতীয় লেগে রোমা ৪-২ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে লিভারপুল ফাইনালে জিনেদিন জিদানের রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ হয় ৭-৬ গোলের ব্যবধানে জিতে।
অসাধারণ খেলার পরও দুর্ভাগ্য সঙ্গী হওয়ায় ফাইনাল খেলা হয়নি রোমার। তবে গোটা খেলায় দারুণ পরিকল্পিত ফুটবল খেলে লিভারপুলের সেরা খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহকে আটকে রাখে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক মৌসুমে ১০ গোল করে ইতিহাসের পাতায় জায়গা নেওয়া সালাহকে পরশু রাতে কোনো সুযোগই দেয়নি রোমার রক্ষণভাগ। পরিকল্পিত ফুটবল খেলার মাঝে ৯ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে বসে ইতালিয়ান ক্লাবটি। মধ্যমাঠ থেকে রোমার নাইনগোলানের ভুল পাস ধরে রবার্তো ফিরমিনো সামনে বল পাঠিয়ে দেন। ডি বক্সে ঢুকে সাদিও মানে আড়াঅড়ি শটে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন ফাইনালের পথে (১-০)। গোলটি খেয়ে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে রোমার খেলায় ফিরে ১৫ মিনিটে। স্বাগতিকরা সমতায় ফিরে আত্মঘাতী গোলে। রোমার স্ট্রাইকার এল শারাউইয়ের ক্রস ঠেকাতে ফিরতি শট নেন লিভারপুলের ডিফেন্ডার লোভরেন। কিন্তু বলটি ক্লিয়ার না হয়ে জেমস মিলনারের গায়ে লেগে জালে প্রবেশ করে (১-১)। সমতা আসার পর রোমা ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই মধ্যে ২৫ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় সফরকারীরা। কর্নার থেকে আসা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় রোমা। উল্টো এডিন জেকোর হেডে গোলমুখে বল পেয়ে যান জর্জিনিয়ো ভিনালডাম। ডাচ মিডফিল্ডার তাড়াহুড়া না করে জালে ফেলে লিভারপুলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন (২-১)। সব মিলিয়ে দুই লেগের ম্যাচের অ্যাগ্রেগেট তখন ৭-৩। মনে হচ্ছিল এক তরফা হয়ে যাবে ম্যাচ। কিন্তু অদম্য রোমা ফিরে আসে। প্রথমার্ধ শেষ হয় লিভারপুলের এগিয়ে যাওয়ায়।