বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

জুনেই আসছেন নতুন কোচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জুনেই আসছেন নতুন কোচ

মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে আলাপ করছেন গ্যারি কারস্টেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার সময় গ্যারি কারস্টেন বলেছিলেন, ‘যে দলে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো ক্রিকেটার আছে সেই দলে আলাদা কোচের দরকার নেই। আমি কেবল দিক নির্দেশনা দেব এই যা!’ তারপর প্রোটিয়া কোচ তত্ত্বাবধানে ২০১১ সালে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে দীর্ঘদিন শীর্ষে ছিল দলটি। সেই কারস্টেন এবার দিক নির্দেশনা দেবেন মাশরাফিদের। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত টাইগারদের লক্ষ্য কী হবে, তার পরিকল্পনা দেবেন কারস্টেন। কোচ হিসেবে কাজ করার মতো পর্যাপ্ত সময় তার নেই। তবে জাতীয় দলের জন্য হেডকোচ খুঁজে দেবেন তিনিই।

গতকাল বিকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গেও দেখা করেছেন কারস্টেন। এ সময় হয়তো নিজের পরিকল্পনার কথাও শেয়ার করেছেন। কারস্টেনের সঙ্গে আলোচনা কোচ নিয়োগের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী বোর্ড প্রধান। আগামী ১৫ জুনের মধ্যেই নতুন কোচ তথা পুরো কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নাজমুল হাসান।

কারস্টেন বাংলাদেশে এসেছেন রবিবার রাতে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর এক হোটেলে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কারস্টেন বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার পর এই দুই দিনে বেশ কয়েকজন ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টের সঙ্গে কথা বলেছি। ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটটাকে বুঝতেছি। এখন সব কিছু দেখে আমি খুবই অনুপ্রাণিত। আমার কাজ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে সহায়তা করা। সেরা একজন কোচ খুঁজে বের করা। একই সঙ্গে নানাভাবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা।’ এক সপ্তাহ পরেই আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে ভারতে যাচ্ছেন সাকিবরা। এই সফরের আগে প্রধান কোচকে পাচ্ছে না টাইগাররা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে  বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কোচ খুঁজে বের করবেন কারস্টেন। কোচ খোঁজার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ভাবছেন তিনি। কারস্টেন জানেন, ‘বাংলাদেশ দলের হয়ে অতীতে অনেকেই ভালো কাজ করেছেন। কোচ খুঁজে বের করতে গিয়ে আমাকে ভাবতে হচ্ছে, অতীতে বাংলাদেশ দলের কাজে এসেছে কোন বিষয়গুলো। আমি জানতে চাচ্ছি, অতীতে কোন বিষয়গুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য বেশি কাজে লেগেছে। সবমিলিয়ে আমি মনে করি এ ব্যাপারে একটা ভালো ধারণা পেয়েছি। এখন আমার কাজ বাংলাদেশ দলের জন্য উপযুক্ত একজনকে খুঁজে বের করা, যিনি দলের কাজে ভালোভাবেই লাগতে পারেন। অনেক দিন ধরেই তো বাংলাদেশের একজন হেডকোচ নেই। আমি আশা করি দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি বোর্ডের সামনে কাউকে নিয়ে আসতে পারব।’ সাকিবদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লেগেছে কারস্টেনের। ক্রিকেটারদের ভিতর জয়ের ক্ষুধা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এই প্রোটিয়া পরামর্শক। বাংলাদেশকে তার কাছে খুব সম্ভাবনাময় দল মনে হয়। কারস্টেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দুনিয়ার বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছে। দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর