মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
আসলামের কলাম

সেমির সম্ভাবনাও দেখছি রাশিয়ার

সেমির সম্ভাবনাও দেখছি রাশিয়ার

স্পেনের কাছে রাশিয়ার পাত্তা পাওয়ার কথা নয়। অনেকে ভেবেছিলেন ইনিয়েভাদের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়াটা সময়ের ব্যাপার। আমি কিন্তু এগিয়ে রেখেছিলাম রাশিয়াকে। কারণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ম্যাচে কৌশল বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বাস ছিল স্বাগতিকরা তা প্রয়োগ করবে। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ানরা সাকসেস। স্পেন ম্যাচে ফেবারিট ছিল। কোচ স্তানিস্লাভ চেরচেসোভ ভালোমতোই জানতেন যে দলে সের্জিও রামোস, ইনিয়েস্তা, লুকাস ভাসকেস, ডেভিড সিলভা ও কোস্তাদের মতো খেলোয়াড় রয়েছে তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবেই। এ চাপ সামাল দিতে যা যা প্রয়োজন তা রাশানরা ভালোভাবেই ব্যবহার করেছে। আত্মঘাতী গোল হলেও শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল স্পেন। তারপর যেভাবে আক্রমণ চালিয়েছিল অন্য দল হলে নিশ্চয় ডি-বক্সের ভিতর ফাউলের আশ্রয় নিত। দেখেন রাশানরা বেশ ঠাণ্ডা মাথার চাপ সামাল দিয়েছে। ফাউলের আশ্রয় নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ডি-বক্সে বেশ সর্তক ছিল। উল্টো পেনাল্টি থেকেই তারা সমতায় ফিরেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই রাশিয়া পুরোপুরি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে।  এতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এই কৌশল ছাড়া চেরচেসোভের শিষ্যদের কিছু করার ছিল না। স্বাগতিক হলেও রাশানরা ছিল অনেটা চাপমুক্ত। কেননা দল হিসেবে রাশিয়ার বিশ্ব জয়ের সম্ভাবনা নেই। এতটা দুর্বল যে তাদের নক আউট পর্বের তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়। অন্যদিকে বড্ড চাপে ছিল স্পেন। লক্ষ্য তাদের একটাই হারানো ট্রফি উদ্ধার করা। শক্তি না থাকতে পারে। কিন্তু মাঠ ভরা সমর্থকতো আছে।

লক্ষ্য করলে দেখবেন ম্যাচে সময় যত গড়াছিল রাশান ফুটবলাররা হাত নেড়ে সমর্থকদের চিৎকার করতে বলছিলেন। এতে করে প্রতিপক্ষরা মানসিক চাপে থাকবে। তাছাড়া স্পেনের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের বয়সও হয়ে গেছে। ম্যাচ যদি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় তারা দম ধরে রাখতে পারবে না। শিডিউল টাইমে স্পেন একতরফা আক্রমণ চালালেও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে তা দেখা যায়নি। রাশিয়া কাউন্টার অ্যাটাকও করে। ডিফেন্সশিপ খেলার জন্য রাশিয়ার অনেকে সমালোচনা করছেন। আমি বলব এটাই তো ক্যারিসমা। তাছাড়া তারাতো খেলেই জিতেছে। টাইব্রেকারে পথ তো উম্মুক্ত ছিল। স্পেন পারল না কেন? কোয়ার্টার নয় আমি তো রাশিয়ার সেমিফাইনালেরও সম্ভাবনা দেখছি। কেননা প্রতিপক্ষ হিসেবে ক্রোয়েশিয়া ততটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না। ডেনমার্কের সঙ্গেই তো তারা হারতে বসেছিল। আজ ইংল্যান্ড মুখোমুখি হচ্ছে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। শক্তির বিচারে ইংলিশরাই ফেবারিট। কিন্তু কলম্বিয়াকে হিসেবের মধ্যেই রাখতে হবে। গ্রুপে বেলজিয়ামের কাছে হারলেও ইংল্যান্ডের খেলা আমার ভালো লেগেছে। হ্যারিকেইন যদি তার ছন্দটা ধরে রাখতে পারে ইংল্যান্ডকে আটকানো মুশকিল হবে। তবে কলম্বিয়া আবার টেনশনপূর্ণ ম্যাচ ভালো খেলে। তাদেরও আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও আজ যে কী হবে বলা সত্যিই মুশকিল।

সর্বশেষ খবর