বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জের মুখে জিমিরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চ্যালেঞ্জের মুখে জিমিরা

উদ্বোধনী ম্যাচে ওমানকে হারানোর পরই এশিয়া গেমসে বাংলাদেশের পঞ্চম স্থান খেলাটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের কাছে হারলেও কাজাখস্তান ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়ে ৪০ বছর পর গেমসে বাংলাদেশ ছয় নম্বরে ফিরে আসে। অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন ১ সেপ্টেম্বর জাপানের বিপক্ষেই জিমিরা পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে।

শক্তির বিচারে বি গ্রুপ থেকে পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া, এ গ্রুপে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ারই সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা ছিল। যদি এর ব্যতিক্রম ঘটে তাহলে তা অঘটন বলেই বিবেচিত হবে। সেই অঘটনটাই ঘটাল জাপান। ফেবারিট ভারত শেষ চারে জায়গা করে নিলেও এশিয়ান গেমসে বেশ কবার সোনাজয়ী দক্ষিণ কোরিয়া এবার পদকই জিততে পারবে না। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল জাপানের কাছে হেরে গেছে। এই দলে বাংলাদেশকে লড়তে হবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। জাপানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে তা নিশ্চিত জেনেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন কোচ ইমান গোপীনাথান কৃষ্ণমূর্তি। থাইল্যান্ডকে হারানোর পর তিনি বলেছিলেন জাপানকে হারানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে। খেলোয়াড়রা যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারলে পঞ্চম হয়ে ইতিহাস গড়ার আশা রাখি। এখন তো তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে পাচ্ছেন। তাদেরকে হারানোর সামর্থ্য কী তার শিষ্যদের নেই।

আসলে এমন এক প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ যেখানে গোপীনাথান বা জিমিদের কিছুই বলার থাকবে না। দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়বে এই আশাও কেউ করছে না। প্রশ্ন হচ্ছে কেন? যে জাপান হারালো দক্ষিণ কোরিয়াকে তাদের বিরুদ্ধেইতো গোপীনাথান  জয়ের আশা করছিলেন। তাহলে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারানো যাবে না কেন?

আসলে জাপানের জয়েই বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। যদি দক্ষিণ কোরিয়াকে হারাতে পারে তা পদক জয়ের চেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে। প্রশ্ন উঠতে পারে হকিতে জাপানের উত্থান হলো কীভাবে। এটাই তো তাদের ক্যারিশমা। এক সময়ে মানের দিক দিয়ে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল। সেই জাপানেই কিনা এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছে। দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে সেমিতে ওঠাটাও তাদের সামনে আরও এগিয়ে চলার পথ দেখাবে। বাংলাদেশকে এখন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। মান বাড়াতে নিতে হবে নতুন নতুন কর্মসূচি। তা না হলে ষষ্ঠ স্থানে থাকাটা বিশ্ব জয়ই মনে হবে।

সর্বশেষ খবর