হলো না স্বপ্ন পূরণ। হলো না রাসেল মাহমুদ জিমিদের ইতিহাস গড়া। এশিয়ান গেমসে হকিতে প্রথমবারের মতো পঞ্চম হওয়ার আশা জাগিয়ে বাংলাদেশ থাকল ছয় নম্বরে। স্থান নির্ধারণী ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া হওয়ায় কেউ আশাও করেননি বাংলাদেশ জিতবে। মালয়েশিয়ার কোচ কাজান গোপীনাথান কৃষ্ণ মূর্তি বলেছিলেন, লক্ষ্য আমাদের থাকবে কম ব্যবধানে হারা। এ ছাড়া আর কি হতে পারে। কারণ দক্ষিণ কোরিয়াকে হারানো সম্ভবই নয়। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ ৭-০ গোলে হেরে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। বাংলাদেশ ধরেই নিয়েছিল পজিশন ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে জাপানকে। তাদের হারানোর জন্য মরিয়া হয়ে লড়বেন জিমি, আশরাফুলরা। হিসেবটা পাল্টে যায় গ্রুপ পর্ব ম্যাচে জাপান ৩-২ গোলে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারানোয়। এতে সেমিতে জায়গা করে নেয় জাপান। দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ব্যস্ এতেই সব আশা শেষ। জিমিদের হার সময় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তবু অঘটনতো হকিতেও ঘটতে পারে। তা না হলে দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা জয়ের লড়াইয়ে মালয়েশিয়া ও জাপান মুখোমুখি হলো কীভাবে? না, ম্যাচের শুরু থেকেই দক্ষিণ কোরিয়া জ্বলে ওঠায় জয়তো দূরের কথা বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি।
এবারের এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় বারের মতো ৭ গোল হজম করল বাংলাদেশ। এর আগে গ্রুপ পর্বে মালয়েশিয়ার কাছে একই ব্যবধানে হেরেছিলেন জিমিরা। একেতো ইতিহাস গড়ার হাতছানি তারপর আবার মামুনুর রহমান চয়নের জন্য ম্যাচটির আলাদা গুরুত্ব ছিল। গতকালই ছিল জাতীয় দলের হয়ে দেশখ্যাত এই খেলোয়াড়ের শেষ ম্যাচ কোরিয়াকে হারাতে পারলে শেষটা কতই না বর্ণাঢ্য হতো চয়নের। না শোচনীয় হারে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেন পেনাল্টি কর্নার এক্সপার্ট খ্যাত এই খেলোয়াড়।