শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাকিব বিশ্বকাপ খেলবেন তো?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব বিশ্বকাপ খেলবেন তো?

মেলবোর্নের হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে সময় গুনছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অপেক্ষা করছেন সদর্পে মাঠে ফেরার। কখন ব্যাট ও বল হাতে প্রতিপক্ষ বোলার, ব্যাটসম্যানদের দুমড়ে মুচড়ে আনন্দে ভাসবেন, তার অপেক্ষায়ই পার করছেন সময়। যদিও তার ফিরে আসার দিন, ক্ষণ, সময় কেউ বলতে পারছেন না। সন্দেহের দোলাচলে দুলছে তার মাঠে ফেরার সময়টুকু। সন্দেহের এই দোলাচলে তার বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংশয়াপন্ন হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সাকিব খেলবেন কি না আলোচনায় সরব ক্রিকেটাঙ্গন। কেউ বলছেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফের বিশ্বকাপ মাতাবেন। কারও মতে, একটু বেশিই কঠিন সাকিবের বিশ্বকাপ খেলা। যদিও বিশ্বকাপ ক্রিকেট মাঠে গড়াতে এখনো প্রায় ৮ মাস বাকি। সাকিবের আঙ্গুলের বর্তমান যে অবস্থা, তাতে শতভাগ ফিট হয়ে পুরনো ছন্দে মাঠে নামতে তার সময় লাগার কথা ৮ মাস। তাহলে? বিশ্বকাপ শুরু সাত মাস পর, ২০১৯ সালের ৩০ মে।

এর আগেই ইনজুরিতে পড়েছেন। মাঠের বাইরে ছিলেন। কিন্তু এবারকার মতো এত অস্বস্তিতে কখনো সময় পার করেছেন কি না, একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। এমন মারাত্মক অবস্থার তৈরি হতো না। যদি না তিনি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বিশেষ অনুরোধে এশিয়া কাপ খেলতে দুবাই উড়ে যেতেন। অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলে শেষ বলের নাটকে হেরে রানার্স আপ হয় বাংলাদেশ। কিন্তু আঙ্গুলের ইনজুরি মারাত্মক আকার ধারণ করায় টুর্নামেন্টের মাঝপথে তিনি ফিরেন দেশে। অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন আঙ্গুলের সংক্রমণ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করা থেকে। সেখানে আঙ্গুল থেকে পুঁজ বের করা হয়। এরপর শুক্রবার উড়ে যান মেলবোর্ন। সেখানে তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ডাক্তার ডেভিড হোয়েইর।

হয়তো ডাক্তারের সঙ্গে আজ পরামর্শ করবেন সাকিব। তবে যতটা জানা গেছে, সংক্রমণটা ভিন্ন্ন ধরনের বলেই এখন আঙ্গুলের অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। সংক্রমণ যেন চিরতরে চলে যায়, এজন্য আগামী ২ মাস, অর্থাৎ নভেম্বর ও ডিসেম্বর ওষুধ খাবেন। ওষুধ খেয়ে তৃতীয় মাসে ট্রায়াল বেসিসে অনুশীলন করবেন। যদি সুস্থ বোধ করেন এবং ব্যাটিং ও বোলিং করতে পারেন, তাহলে অস্ত্রোপচার না করেই হয়তো চলবে। সন্দেহের উর্ধ্বে উঠে যাবে তার বিশ্বকাপ খেলা। কিন্তু সংক্রমণ পুরোপুরি সেরে না উঠলে ষষ্ঠ মাসে বা এপ্রিলে তার আঙ্গুলে অস্ত্রোপচার করা হবে। অস্ত্রোপচার করার পরে পুর্নবাসন প্রক্রিয়া চলবে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ। বিসিবির ডাক্তাররাই জানিয়েছেন, আঙ্গুলের সংক্রমণ ঠিক হতে কমপক্ষে একমাস এবং উর্ধ্বে ২ মাস লাগবে। সব মিলিয়ে খেলার মতো সুস্থ হতে ৮ মাস লাগবে।

যদি সুস্থ হতে, খেলার উপযোগী হতে এতো দীর্ঘ সময় লাগে, তাহলে ৩০ মে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলা একটু কঠিনই হবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। আট জাতির বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু আগামী ৩০ মে। ৪৫ দিন ব্যাপী টুর্নামেন্টের ফাইনাল ১৪ জুলাই। বিশ্বকাপে সবগুলো দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ৫ জুন নিউজিল্যান্ড, ৮ জুন ইংল্যান্ড, ১১ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া এবং ২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

 

সর্বশেষ খবর