শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সৌম্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সৌম্য

সেঞ্চুরির পর দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছেন বিসিবি একাদশের অধিনায়ক সৌম্য সরকার —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সবাইকে চমকে উড়ে গিয়েছিলেন দুবাই। খেলেছেন এশিয়া কাপ। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হারের ম্যাচে রানও করেছিলেন। তখন মনে হয়েছিল হয়তো টিকে যাবেন ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে। কিন্তু আস্থা রাখেননি নির্বাচক প্যানেল। তাই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পাননি। তবে নির্বাচকরা তাকে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ দিয়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিসিবি একাদশের। বিকেএসপিতে প্রীতি ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন সৌম্য সরকার। যাকে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্য ড্যাসিং ওপেনার। গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন। তার তিন অংকের বিধ্বংসী ইনিংসে ৬৬ বল হাতে রেখে বিসিবি একাদশ ৮ উইকেটে বড় জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রস্তুতি ম্যাচটি আবার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও এবাদত হোসেনের জন্যও আলাদা কিছু। সেঞ্চুরি করেছেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়কও। ৫ উইকেট নিয়েছেন এবাদত। আগামীকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলবে ফ্লাড লাইটের আলোয়।

চলতি বছর জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন মাশরাফিরা। তিন জাতির ওই টুর্নামেন্টে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের দাঁড়াতেই দেয়নি টাইগাররা। এবারও পরিষ্কার ফেবারিট। তার ওপর মরু শহর দুবাইয়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে ক্রিকেটাররা। ৬৮ মুখোমুখিতে ৪১টি জয় পাওয়া বাংলাদেশ যে পরিষ্কার ফেবারিট, তার প্রমাণ দিল দ্বিতীয় সারির জাতীয় দল। বিসিবি একাদশের অধিকাংশই যুব দলের অভিজ্ঞতাপুষ্ট। যদিও অনেকের আবার অভিষেক হয়েছে জাতীয় দলে। তারপরও দলটিতে জায়গা পেয়েছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া সৌম্য ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। খেলেছেন সিরিজে ডাক পাওয়া ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও সাইফ উদ্দিন। দুজনে খেললেও পারফরম্যান্স করতে পারেননি। রাব্বি খেলেছেন মাত্র ১৩ রানের ইনিংস। সাইফ ছিলেন উইকেটশূন্য।

ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। অধিনায়কের সেঞ্চুরির পরও ১৭৮ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। আফ্রিকান প্রতিনিধিদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পেসার এবাদত। একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। এবাদত ও সাইফের বিধ্বংসী বোলিংয়ে একপর্যায়ে ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৪ রান যোগ করেন মাসাকাদজা ও এল্টন চিগুম্বুরা। ধীরলয়ে ব্যাটিং করে চিগুম্বুরা করেন ৮৩ বলে ৪৭। কিন্তু মাসাকাদজা সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরি করেই। ৭৭ রানে জীবন পাওয়া মাসাকাদজা ১০২ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হন আফিফের বলে। ১৩৮ বলের ইনিংসটি ছিল ১৪টি চার ও একটি ছক্কার। ১৭৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও ফজলে রাব্বি সাজঘরে ফেরেন ৫২ রানে। ব্যক্তিগত ৮ রানে রানআউট হন মিজান। রাব্বি খেলেন ১৩ রানের ইনিংস। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর অধিনায়ক সৌম্য ও মোসাদ্দেক জুটি বেেঁধ দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। মোসাদ্দেক ব্যক্তিগত ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরেন আহত হয়ে। সৌম্য অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ১১৪ বলের ম্যাচসেরা ইনিংসটিতে ছিলেন ১৩ চার ও এক ছক্কা। সেঞ্চুরি করেন ১০৯ বলে এবং প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন ৫৮ বলে।

সর্বশেষ খবর