শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ

দেখা মিলবে না সাকিব-তামিমের —ফাইলফটো

বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই! কারণ সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের প্রভাবটা তো আর বোলিংয়ে পড়ছে না। যদিও সাকিবের বোলিং প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বোলিংয়ে ব্যাকআপ আছে। তিন পেসার মাশরাফি, মুস্তাফিজ ও রুবেলই তো ৩০ ওভার বোলিং করবেন। ১০ ওভারের দায়িত্ব মেহেদী মিরাজের। বাকি ১০ ওভারের জন্য দলে নেওয়া হবে অপু কিংবা নবাগত রাব্বি যে কাউকে। এ ছাড়া পার্টটাইমার বোলার তো আরও আছেন। কিন্তু সমস্যায় পড়তে হবে ব্যাটিংয়ে। সাকিব-তামিম না থাকায় ব্যাটসম্যানদের পড়তে হবে চ্যালেঞ্জের মুখে।

এশিয়া কাপের ফাইনালে বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল খুবই হতাশার। অথচ ওই ম্যাচে লিটন দাস ও মিরাজের ওপেনিং জুটিতেই এসেছিল ১২০ রান। দুর্দান্ত এমন এক ভিত্তির পরও পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দলীয় স্কোর বড় হয়নি। ওপেনিং জুটির পর মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। সে কারণে স্কোরও আর বড় হয়নি। সে ম্যাচে তামিম ও সাকিবের মতো ব্যাটসম্যান থাকলে হয়তো টাইগারদের স্কোরটা তিনশর কাছাকাছি যেতে পারত।

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজেও সে আশঙ্কা আছে! তবে কোচ স্টিভ রোডস অবশ্য এ ব্যাপারে দারুণ সতর্ক। একই ভুল যাতে বার বার না হয় সে ব্যাপারে তিনি তার শিষ্যদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন।

তামিম না থাকায় ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গে দেখা যেতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তকে। যদিও এশিয়া কাপে তিন ম্যাচ খেলে তিনি রান পাননি। তবে জাতীয় লীগে খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তিনে দেখা যেতে পারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। তারপরই থাকবেন মুশফিকুর রহিম। ছয়ে দেখা যাবে মোহাম্মদ মিথুনকে। অবশ্য ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনও আসতে পারে। এমনও হতে পারে যে মাহদুল্লাহ ও মিথুনের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন হয়ে গেছে।

সাতে ইমরুল কায়েস কিংবা আরিফুল হক ব্যাটিং করবেন, আটে মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তিন পেসার। তবে একজন বোলার বেশি নিতে চাইলে শান্তর জায়গায় নিতে হবে। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা তাই বাড়তি স্পিনার হিসেবে নাজমুল ইসলাম অপু কিংবা ফজলে রাব্বিকে দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে মিরাজকে দিয়ে চেষ্টা চালাতে পারেন মাশরাফি। তা না করতে চাইলে ইমরুল কায়েস কিংবা মিথুনকেও লিটনের সঙ্গী হিসেবে ওপেনিং জুটিতে বাইশগজে দেখা যেতে পারে।

লিটন দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর দেশে ফিরে জাতীয় লীগে মারকাটারি এক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ফর্মে রয়েছেন মোহাম্মদ মিথুনও। এশিয়া কাপে তিনি দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। বিপদের সময় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি। জাতীয় লিগেও রান পেয়েছেন। আর মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিককে নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই।

এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে থাকলেও খেলতে পারেননি আরিফুল। তবে জাতীয় লীগে খেলতে নেমেই তুলে নিয়েছেন এক ডাবল সেঞ্চুরি। তা ছাড়া ঘরের মাঠে রংপুরের এই ব্যাটসম্যান খুবই কার্যকরী। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে নেমে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রেও তার জুড়ি নেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের গত আসরে খুলনার হয়ে দুর্দান্ত দাপট দেখিয়েছেন তিনি। সে কারণে সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে কোচ বেছে নিতে পারেন আরিফুলকেই। তা ছাড়া কোচের নজরেও আছেন তিনি। একদিন আগে আরিফুল সম্পর্কে স্টিভ রোডস বলেছেন, ‘সে দুর্দান্ত এক ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিংও করেন। যদিও তাকে এখনো পরখ করে দেখা হয়নি। তবে আরিফুলের মতো ক্রিকেটারই দরকার।’

কোচ মনে করেন, সাকিব-তামিমের অভাব যেমন পূরণ করা সম্ভব নয়, তেমনি অন্যদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগও। এখন দেখা যাক, এই সুযোগটা বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা কতটা নিতে পারেন।

সর্বশেষ খবর