শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিশন এবার বিশ্বকাপ!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিশন এবার বিশ্বকাপ!

দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলে মারিয়া মান্ডাদের শিরোপা জেতাটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদি কোনোক্রমে শিরোপা মিসও হয়ে যায় তাহলে অন্তত রানার্সআপের ট্রফি উঠছে। অনূর্ধ্ব-১৫ কিংবা অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সী টুর্নামেন্টে নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখছে মৌসুমী, মারিয়া, স্বপ্নারা। বড়দের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও রানার্সআপ হয়েছে। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে এক বছরে তিন ফাইনাল খেলে দুই শিরোপার কৃতিত্ব রয়েছে কিশোরীদের। পুরুষ ফুটবলাররা যেখানে হতাশায় বন্দী সেখানে মেয়েদের এমন প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে গৌরবের।

এএফসি কাপ বাছাই পর্বেও জ্বলে উঠছে। সেপ্টেম্বরে ঢাকায় বাছাই পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ আসরে সাফল্য নেই। অবশ্য এই লেভেলে বাংলাদেশের খেলার অভিজ্ঞতা কমই বলা যায়। মারিয়ারা এ নিয়ে বিচলিত নন। দক্ষিণ এশিয়া ছাড়িয়ে তাদের চোখ বহুদূরে। অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রফি জিতে মেয়েরা বিশ্রাম নিতে পারেননি। অনূর্ধ্ব-১৯ এএফসি কাপ বাছাই পর্ব খেলতে গতকালই তাজিকিস্তানে উড়ে গেছে। ‘ডি’ গ্রুপে খেলতে হবে দক্ষিণ কোরিয়া, চাইনিজ তাইপে ও স্বাগতিক তাজিকিস্তানের বিপক্ষে। কঠিন গ্রুপ তবু বাংলাদেশের টার্গেট দ্বিতীয় রাউন্ড। শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া আছে বলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা যায়। বাছাই পর্বে ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও বেস্ট রানার্সআপ দল ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাবে। মারিয়ারা সেই সুযোগটা কাজে লাগতে চাচ্ছেন।

ঢাকা ছাড়ার আগে কোচ রব্বানী ছোটন বলেন, নারী ফুটবলে শুধু এশিয়ান নয়, কোরিয়া এখন বিশ্বফুটবলে শক্তিশালী দল। তাই তাদের হারানোটা কঠিন হবে। তবে বেস্ট রানার্সআপ হওয়ার আশা রাখি। চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে বড় ব্যবধানেই জেতার আশা রাখি। তাজিকিস্তান শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। দুশানবে অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি কাপে ৪-২ ও অনূর্ধ্ব-১৪ বাছাই পর্বে ৯-১ গোলে জেতার রেকর্ড রয়েছে।

অধিনায়ক সিরাত জাহান মৌসুমী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া শক্তিশালী মানলাম কিন্তু আমরা তাদের বিরুদ্ধে সেরাটা দিতে চাইব। বাকি দুই ম্যাচ জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চূড়ান্ত পর্বে শীর্ষ চার দল খেলবে সামনে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। অর্থাৎ বাংলাদেশের এই মিশনটা বিশ্বকাপেরই বলা যায়। যদিও রাস্তাটা বহুদূর। তারপরও মারিয়ারা খেলছেন বলেই আশা একেবারে ছেড়ে দেওয়া যায় না। হয়তো সেই ইঙ্গিতটা মিলতে পারে দুশানবে বাছাই পর্বে চমক দেখিয়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর