এক সময় ইমরুল কায়েসের নামের পাশে ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান’ সেঁটে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ওই সময় টেস্টে উদ্বোধনীতে তামিম ইকবালকে দীর্ঘদিন সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে ৭৮ রানের ইনিংস খেলার পর খেই হারিয়ে ফেলেন ইমরুল। এর পরের ১৬ ইনিংসে একটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসও নেই। ধুঁকতে থাকা সেই ইমরুল রঙিন পোশাকে ফিরে পেয়েছেন নিজেকে। ছুটিয়েছেন রানের ফোয়ারা। এবার সাদা পোশাকেও রান করতে মরিয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
গত এশিয়া কাপের মাঝপথে হঠাৎ করে ডাক পান ইমরুল কায়েস। আগের দিন আরব আমিরাতে গিয়ে পরদিন উত্তপ্ত আবহাওয়ায় দুর্দান্ত ফিফটিতে বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখান।
এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে রেকর্ড ৩৪৯ রান করেছেন, যার মধ্যে আছে দুই সেঞ্চুরি।রঙিন পোশাকের এই জমকালো পারফরম্যান্স এবার সাদা পোশাকেও টেনে আনতে চান ইমরুল, ‘ফরম্যাট ভিন্ন, কিন্তু আপনি যদি রানে থাকেন, তবে কিভাবে রান করতে হয় সে জিনিসটা মাথায় সাজানো থাকে।
ওয়ানডে, টেস্ট কিংবা টি-২০ যাই হোক, মূল জিনিসটা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। সেই আত্মবিশ্বাস এখন আছে, চেষ্টা করছি কাজে লাগাতে।’
টেস্ট ক্রিকেটে ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত কিছু ইনিংস আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শ’ রানও করেছিলেন তিনি। ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও রান করেছেন। এসব সুখস্মৃতি এবারও ভালো করার তাড়না দিচ্ছে ইমরুলকে, ‘গত এক বছর টেস্টে ভালো খেলিনি। তবে আগে ভালো করেছি, সেসব তো মাথায় আছে। চেষ্টা করবো রান করার।’
এদিকে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে দারুণ আত্মবিশ্বাসী টিম বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজেও এমন সাফল্য চায় টাইগাররা। সাকিব তামিম দলে না থাকায় দলের শক্তি কিছুটা খর্ব হলেও তারুণ্যনির্ভর দল আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশীকে।
তাই তাইজুল ও মেহেদী মিরাজের উপর একটু বেশিই ভরসা তার। স্পিন সহায়ক সিলেটের উইকেট নিয়ে বেশ আশাবাদী সুনীল, ‘আমরা সাকিবকে মিস করব। তবে দায়িত্ব নেওয়া ও দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য তাইজুল আর মিরাজের জন্য দারুণ সুযোগ।’